রাজু চৌধুরী: [২] শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এর ‘এপিএস’ হিসেবে পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন লোকের সাথে প্রতারণার অভিযোগে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তার নাম মো. শিহাব উদ্দিন সিদ্দিকী ওরফে রিহান শিহাব (২৬)।
[৩] মঙ্গলবার (৩ আগস্ট) কোতোয়ালী থানা পুলিশ জানায়, সোমবার রাত সাড়ে ১০টায় রিয়াজউদ্দিন বাজারের সামনে থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
[৪] পুলিশ সূত্র জানায়, কারাবন্দি তাসলিমার স্বামীকে জামিনে মুক্ত করে আনবেন বলে শিক্ষা উপমন্ত্রীর এপিএস পরিচয় দিয়ে তাসলিমা সাখাওয়াত নামে এক নারীর কাছ থেকে দুই লাখ টাকা নেন শিহাব। কিন্তু এই টাকা আত্মসাৎ করেন তিনি। এ অবস্থায় শিহাবের বিরুদ্ধে কোতোয়ালী থানায় মামলা দায়ের করে তাসলিমা। কখনো তিনি প্রতিশ্রুতি দেন বিদেশ চাকরি পাইয়ে দেওয়ার। আবার কখনো তিনি ‘কন্ট্রাক্ট’ নেন আসামিকে জামিনে মুক্ত করার। এভাবেই উপমন্ত্রীর নাম ব্যবহার করে তিনি বিভিন্ন জনের কাছ থেকে হাতিয়ে নেন টাকা।
[৫] এদিকে নয়ন নামে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গেও প্রতারণা করেন শিহাব, কাতারে চাকরি দেওয়ার নামে ২০১৮ সালে তিনি নয়নের পাসপোর্টের ফটোকপি নেন। এরপর সেই পাসপোর্টের ফটোকপি দিয়ে চলে প্রতারণা।
[৬] নয়নের কাছে কখনো ফোন আসতে থাকে স্টেশন রোডের মোটেল সৈকত থেকে, আবার কখনো পাঁচতারকা হোটেল রেডিসন ব্লু থেকে। সবাই নয়নের কাছ থেকে হোটেলে থাকা-খাওয়ার বিলের বকেয়া টাকা দাবি করেন। পরে নয়ন জানতে পারেন তাঁর পাসপোর্টের ফটোকপি দিয়েই গত ২৮ জুলাই রেডিসনে রুম বুকিং নেন শিহাব। একদিন সেখানে অবস্থান করেন ‘নয়ন’ নামে। এ কারণে নয়নের নামে আসে ২৫ হাজার টাকার বিল! এর আগে মোটেল সৈকতেও একই ধরনের প্রতারণা করেন শিহাব। হোটেলে থেকে আরাম-আয়েশ শিহাব করলেও ১১ হাজার টাকার বিল আসে নয়নের নামে।
[৭] কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নেজাম উদ্দিন বলেন, শিহাব খুবই ধূর্ত প্রতারক। সে একেক সময় একেক জনের নাম ভাঙিয়ে প্রতারণা করে। এর আগেও তাকে একবার গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। কিন্তু জেল থেকে বেরিয়ে সে আবারও তার স্বভাবগত প্রতারণায় জড়িয়ে পড়ে।
আপনার মতামত লিখুন :