মনিরুল ইসলাম: [২] করোনাকালে শিশুরা বাল্যবিয়ের শিকার হচ্ছে জানিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন (এমজেএফ)।
[৩] মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে এমজেএফ বাল্যবিয়ে রোধে সরকারকে স্থানীয় পর্যায়ে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানায়।
[৪] বিবৃতিতে বলা হয়, সম্প্রতি রংপুরের বদরগঞ্জে নবম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী বিয়ের দিন নিজবাড়িতে ছুরিকাঘাতে আহত ও পরবর্তীতে মৃত্যুর ঘটনায় শোকাহত এমজেএফ। মাদ্রাসায় যাওয়া আসার পথে উত্যক্ত করায় নিরাপত্তার কথা ভেবে মেয়েটির পরিবার স্থানীয় প্রশাসনকে না জানিয়ে বিয়ে দিয়ে দিচ্ছিল। তবে বিয়ের ব্যবস্থা করেও তাকে বাঁচাতে পারেনি।
[৫] ফাউন্ডেশন জানায়, স্কুল বন্ধ, নিরাপত্তাহীনতা ও অভাবের কারণে বাল্যবিয়ে বাড়ছে। মূলত এইসব কারণে অভিভাবকরা আইন লঙ্ঘন করে কন্যাশিশুদের বিয়ে দিচ্ছেন গোপনে।
[৬] এমজেএফের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম বলেন, '২০১৮-৩০ সালের মধ্যে বাল্যবিয়ে নিরোধ সংক্রান্ত ন্যাশনাল অ্যাকশন প্ল্যান বাস্তবায়নে এবং করোনার কারণে কন্যাশিশু ও কিশোরী মেয়েদের সামাজিক নিরাপত্তা বিধানে চলতি অর্থবছরেও কোনো নির্দিষ্ট বরাদ্দ রাখা হয়নি। যদিও বাংলাদেশ সরকার ২০৩০ সালের মধ্যে বাল্যবিয়ে এবং জোর করে বিয়ে বন্ধ করার ব্যাপারে অঙ্গীকারাবদ্ধ। বাল্যবিয়ে ঘটার দিক দিয়ে বাংলাদেশ বিশ্বের চতুর্থ দেশ। তাই আমরা আশা করবো সরকার দ্রুত তাদের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে এগিয়ে আসবে।
[৭] এমজেএফ নারীর প্রতি সহিংসতা রোধ ও বাল্যবিয়ে বন্ধে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে ইতোমধ্যেই চিঠি দিয়েছে বলে জানান।
আপনার মতামত লিখুন :