রাহুল রাজ: [২] টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের অজি বোলারদের গতির কাছে পরীক্ষা দিতে হয়েছে। সেই পরীক্ষায় ২০ ওভার শেষে ৭ উইকেটে ১৩১ রান করে বাংলাদেশ। দলের পক্ষে সাকিব সর্বোচ্চ ৩৬ ও নাঈম ৩০ রান যোগ করেন।
[৩] ইনিংসের শুরুটা হয় ছয় দিয়ে। মিচেল স্টার্কের দ্বিতীয় বলেই ওভার বাউন্ডারি মারেন নাঈম শেখ। তবে সেই উত্তাপ ধরে রাখতে পারেনি তারা। নিমিষেই যেন ঝিমিয়ে যায়। স্বাচ্ছন্দ্যে ছিলেন না ওপেনার সৌম্য সরকার। অজি বোলারদের দাপটে বেশ ভুগছিলেন তিনি। শেষ পর্যন্ত পরাস্ত হন হ্যাজেলউডের কাছে। ৯ বলে ২ রান করে বোল্ড হয়ে ফিরে যান তিনি।
[৪] অন্যপ্রান্তে এগিয়ে নিচ্ছিলেন নাঈম শেখ। ভালোই খেলতে নাঈম শেখ পরাস্ত হন জাম্পার জাদুতে। রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে বোল্ড হয়ে ফিরে যান তিনি। ২৯ বলে ৩০ রান করেন নাঈম।
[৫] অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও যেন এদিন ছিলেন নিষ্ক্রিয়। ৫ রানে জীবন পেলেও বেশিদূর যেতে পারেননি তিনি। হ্যাজলউডকে একটা ছয় মারার পরেই বিদায়-ঘণ্টা বাজে তারও। ফিরে গেছেন ২০ বলে ২০ রান করে।
[৬] ব্যাট হাতে ব্যর্থ নুরুল হাসান সোহানও। ঠিকঠাক টাইমিং করতে পারলেন না অ্যান্ড্রু টাইয়ের বলে। ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে শেষ পর্যন্ত ক্যাচ দিয়ে ফিরে গেছেন তিনি। তার ব্যাট থেকে এসেছে ৪ বলে ৩ রান।
[৭] কচ্ছপ গতিতে রান তোলার দিনে জ্বলে উঠতে পারেননি বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানও। খেলেছেন ধীরলয়ে। শেষদিকে জুটি গড়ার চেষ্টা করেন আফিফ হোসেনের সঙ্গে। কিন্তু তাতে বাধ সাধেন হ্যাজেলউড। ৩৩ বলে ৩৭ রানের ইনিংস খেলে সাজঘরে ফেরেন এই অলরাউন্ডার। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে প্রশংসায় ভেসে যাওয়া শামীম পাটোয়ারীও ব্যর্থ হয়েছেন ব্যাট হাতে। মাত্র ৪ রান করে স্টার্কের শিকার হয়েছেন তিনি।
[৮] ধীরগতিতে রান তোলার ম্যাচে বাংলাদেশ ১০০ পেরোয় ১৭তম ওভারে। শেষ পর্যন্ত ধুঁকতে ধুঁকতে ১৩১ রানে থামে বাংলাদেশের ইনিংস। শেষ পর্যন্ত আফিফ করেন ১৭ বলে ২৩ রান। এছাড়া মাহেদী হাসান অপরাজিত থাকেন ৭ রানে।
[৯] অস্ট্রেলিয়ার হয়ে হ্যাজেলউড ৪ ওভারে ২৪ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন। এছাড়া স্টার্ক ২টি এবং জাম্পা ও টাই নেন ১টি করে উইকেট।
[১০] এর আগে পাঁচ ম্যাচ টি-টোয়েন্টির প্রথম ম্যাচে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক ম্যাথু ওয়েড।
[১১] টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে প্রথমবারের মতো অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দ্বিপাক্ষিক সিরিজে মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ।
[১২] করোনার কারণে অজিদের দেয়া অসংখ্য শর্ত মেনে পাঁচ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজ আয়োজন করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার চাহিদা পূরণে আন্তরিকতার কমতি রাখেনি বোর্ড। সব শর্ত মেনেই শেষ পর্যন্ত শুরু হয়েছে সিরিজ।
[১৩] সিরিজের বাকি চারটি ম্যাচ মাঠে গড়াবে ৪, ৬, ৭ ও ৯ আগস্ট। 'হোম অব ক্রিকেট' খ্যাত মিরপুরের শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রতিটি ম্যাচ শুরু হবে বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ছয়টায়। সম্পাদনা: মিনহাজুল আবেদীন।