শাহীন খন্দকারঃ [২] করোনায় শনাক্ত রোগী চিকিৎসা সেবা নিয়ে বাড়ি ফিরেছে ৫৪৯ জন ।
[৩] আগারগাঁও শেরে-ই বাংলা নগর শিশু হাসপাতালের পরিচালক সৈয়দ সফি আহমেদ আরও জানালেন, প্রতিদিন ডেঙ্গু রোগী আসছে। ডেগুু রোগীদের জন্য পৃথক ডেঙ্গু কর্ণার করা হয়েছে।
[৪] অধ্যাপক ডা. সফি আহমেদ বলেন, নিবিড় পরিচর্যায় ডেঙ্গু আক্রান্ত শিশুদের চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে। জানুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত ভর্তি ৫ জন, জুলাইতে ১০৪ এবং চলতি মাসের ৩ তারিখ পর্যন্ত ১৪ জন, গত ৭ দিনে ভর্তি রোগী ৫২ মোট ভর্তি আছে ১২৩ জন। এদিকে চিকিৎসা সেবা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছে ৮৬ জন।
[৫] পরিচালক বলেন, শিশু হাসপাতালে এখন পর্যন্ত ৫৮৯ জন শিশু করোনায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিয়েছে। সেখানে ৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছে ৪ জনসহ নতুন ভর্তি রোগী রয়েছে ১৬ জন। এছাড়া গত ৭দিনে ভর্তি ২০ জনসহ এপর্যন্ত মোট ভর্তিরোগী রয়েছে ৪০জন বলে জানালেন তিনি। করোনা আক্রান্ত হয়ে এপর্যন্ত মারা গেছেন ৩৮ জন শিশু। অধ্যাপক ডা. সৈয়দ শফি আহমেদ আরও জানিয়েছেন, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ছে শিশুদের মাঝেও। শিশুরা মৃদু উপসর্গ জ্বর, সর্দিকাশি নিয়ে ভর্তি হয়। তবে জটিল রোগ যেমন কিডনি, লাং, হার্ট, ক্যান্সার বা সার্জারির শিশু রোগীদের পরীক্ষা করলে করোনা ধরা পড়ছে। করোনা সংক্রমণ হলে এইসব রোগীর অবস্থা খারাপ হয়ে যায়।
[৬] ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও শিশু হাসপাতালে দুটি পৃথক ওয়ার্ড করা হয়েছে করোনা আক্রান্ত শিশুদের সেবায়। শিশু হাসপাতালের ২০ শয্যার ওয়ার্ডটিতে গত ১৪ দিন ধরে রোগীতে পূর্ণ। একজন রোগী ছাড় পেলেই কেবল নতুন রোগী ভর্তি করা যাচ্ছে। ঢাকা মেডিকেলে শিশুদের জন্য নির্ধারিত ৩১ শয্যার করোনা ওয়ার্ডে এখন ১৮ থেকে ২০ জন রোগী প্রতিদিনই ভর্তি থাকছে।
[৭] এই দুই হাসপাতালে এ পর্যন্ত ১ হাজার ৮৮৯ জন শিশু করোনা আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিয়েছে। এর মধ্যে ১৪২ জনের মৃত্যু হয়েছে। শিশুদের জন্য নির্ধারিত ওয়ার্ডে কাজ করা চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, অন্যান্য রোগে আক্রান্ত শিশুরা হাসপাতালে আসার পর করোনা ধরা পড়ছে বেশি। এসব শিশু হয় পরিবারের বড়দের মাধ্যমে সংক্রমিত হচ্ছে। না হয় হাসপাতালে অন্য রোগী বা স্বজনের মাধ্যমে আক্রান্ত হচ্ছে। অন্য জটিল রোগে আক্রান্ত শিশুদের পরে অবস্থা জটিল আকার ধারণ করে। অনেককে বাঁচানোও যায় না।
[৮] চিকিৎসকরা বলছেন, ক্যান্সার বা এ ধরণের জটিল রোগে আক্রান্ত শিশুদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা একেবারে কম থাকে। তারা করোনা সংক্রমিত হলে সংকটাপন্ন হয়ে পড়ে। যেসব শিশু করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর মারা গেছে তাদের প্রায় সবাইরই কোন না কোন জটিল রোগ ছিল। শিশু হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে, ১ হাজার ৪০০ নবজাতকের ওপর তারা একটি গবেষণা পরিচালনা করে দেখেছেন যে, নবজাতকদের ২ শতাংশের শরীরে করোনা সংক্রমণ ছিল। যাদের ওপর জরিপ চালানো হয়েছে তার ৩২ জনই আক্রান্ত ছিল।
[৮] এসব নবজাতকদের মধ্যে ১দিন বয়সী নবজাতকও ছিল। ৭ জন নবজাতক করোনা উপস্থিতি নিয়ে মারা গেছে। যারা অন্যরোগেও আক্রান্ত ছিল। করোনা ইউনিটের একটি সুত্রে আরও জানা যায় ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসা নিতে আসা এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৩২৬ শিশুর শরীরে করোনা ধরা পড়েছে। এর মধ্যে মারা গেছে ১১০ জন। সম্পাদনা : রাশিদ