শরীফ শাওন: [২] করোনা পরীক্ষায় নানা অনিয়মের প্রমাণ পাওয়ায় সিদ্ধান্তটি জানিয়ে প্রাভা হেলথকেয়ারের ব্যবস্থাপনা পরিচালকে চিঠি দিয়েছে অধিদপ্তর।
[৩] সোমবার অধিদপ্তরের চিঠিতে বলা হয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গঠিত তদন্ত কমিটি ওই প্রতিষ্ঠানটি পরিদর্শন করে বিভিন্ন অনিয়ম দেখতে পেয়েছে, যা অগ্রহণযোগ্য। এ অবস্থায় তদন্ত কমিটির দেওয়া প্রতিবেদনের আলোকে প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম সাময়িক স্থগিত করা হল।
[৪] অনিয়মের বিষয়ে বলা হয়, করোনাভাইরাসের নমুনা কালেকশন বুথে পৃথক ডনিং এবং ডফিং রুম থাকার নিয়ম থাকলেও প্রাভা হেলথে একই কক্ষে দুটি কাজই চলছিল, যা অগ্রহণযোগ্য। প্রত্যেক বিদেশগামী যাত্রীদের করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষার জন্য সরকারি নির্ধারিত ফি সর্বোচ্চ ২ হাজার ৫০০ টাকা নেওয়ার কথা থাকলেও প্রাভা হেলথ নিবন্ধন ফির নামে অতিরিক্ত ১৫০ টাকা আদায় করছিল। আরটিপিসিআর পরীক্ষার রিপোর্টে বিএমডিসির নিবন্ধিত একজন চিকিৎসকের স্বাক্ষর প্রয়োজন, কিন্তু প্রাভা হেলথের দেওয়া কোনো প্রতিবেদনে কোনো চিকিৎসকের স্বাক্ষর ছিল না। প্রাভা হেলথ তাদের ওয়েবসাইটে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থাকে তাদের ‘পার্টনার’ বলে দাবি করছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বিষয়টির ব্যাখ্যা চাইলে কোনো ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি। বরং ওই শব্দটি পরিবর্তন করে ‘আওয়ার করপোরেট ক্লায়েন্টস’ লিখেছে।