রাজু চৌধুরী: [২] চট্টগ্রাম ডবল মুরিং মডেল থানা পুলিশ জানায়, আটককৃত নারী আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা, নাম রাবেয়া আক্তার নেহা (২৩)। কিন্তু শারিরীক এ অবস্থাতেও চুরি করতে গিয়ে পুলিশের হাতে ধরা পড়েন তিনি। মাত্র চার মাস আগে আরও একবার চুরি করতে গিয়ে আটক হন তিনি। অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় পুলিশের হাতে মাত্র দুইবার গ্রেপ্তার হলেও এলাকাবাসীর হাতে ধরা পড়েন আরও চারবার। কিন্তু প্রতিবারই এই 'অন্তঃসত্ত্বা'র জন্য সহানুভূতি পান তিনি। তবে সেই সহানুভূতিকে পুঁজি করেই তিনি চুরি করেছেন কমপক্ষে আরও চারবার। এবারও তাকে কেউ সন্দেহ না করলেও সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়ে যায় তার চুরি।

[৩] সোমবার (২ আগস্ট) সকালে আগ্রাবাদ মৌলভীপাড়া মানিক ম্যানশন থেকে তাকে পুনরায় গ্রেপ্তার করা হয়।

[৪] ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন বলেন, সোমবার ভোরে মানিক ম্যানশনে একটি বাসা থেকে মোবাইল ও কাপড় চুরি হয়। পরে এলাকাবাসী সিসিটিভি ফুটেজে রাবেয়াকে শনাক্ত করে '৯৯৯' এ ফোন দিলে পুলিশ তাকে আটক করে এবং চুরিকৃত মালামাল উদ্ধার করে। রাবেয়ার বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে আরও একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ওসি মহসীন আরও জানান, রাবেয়া চট্টগ্রাম নগরীর অন্যতম স্বভাবজাত শীর্ষ চোর।

[৫] কাকডাকা ভোরে মানুষ যখন ঘুমিয়ে থাকেন, তিনি চুরি করেন সেই সময়। নামায পড়তে, ব্যায়াম করতে গেলে অনেকই বাসা অসাবধানতাবশত খোলা রেখে বের হন। তখনই তিনি চুরি করে পালিয়ে যান। জিজ্ঞাসাবাদে রাবেয়া জানান, তিনি এই কায়দায় শতাধিক চুরি করে করেছেন। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ধরা না পড়ায় তার বিরুদ্ধে মামলা মাত্র ৪ টি।

[৬] পুরো চট্টগ্রাম শহর জুড়েই তিনি চুরি করেন। বর্তমানে তিনি আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা। এটা তার চুরিতে বাধা হওয়ার কথা থাকলেও তিনি এটাকেই পুঁজি করেছেন। গর্ভবতী হওয়ায় সহজেই কেউ সন্দেহ করে না। আবার ধরা পড়ে গেলেও আলাদা সহানুভূতি কাজ করে। তাই অবস্থায়ও তিনি চুরি থামাননি। এই অবস্থায়ও চুরি করেছেন ৮ বার। তন্মধ্যে এলাকাবাসীর কাছে ধরা পড়লেও 'সহানুভূতি' পেয়ে ছাড়া পান। সর্বশেষ চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় মার্চে ডবলমুরিং থানায় আরও একবার গ্রেপ্তার হন তিনি।

[video width="640" height="352" mp4="https://www.amadershomoy.com/bn/wp-content/uploads/2021/08/received_532186954687732.mp4"][/video]