বাশার নূরু: [২] ৩৯তম বিসিএস (বিশেষ) পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের মধ্য থেকে চিকিৎসক নিয়োগের নির্দেশনা চেয়ে রিটে কোনো আদেশ দেননি হাইকোর্ট। আদালত বলেছেন, কতোতম বিসিএস থেকে, কীভাবে কতোজন চিকিৎসক নিয়োগ দেবেন এটা সরকারের পলিসি মেকিংয়ের বিষয়। এ বিষয়ে আমরা হস্তক্ষেপ করবো না। সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে কথা বলুন। তবে চিকিৎসক নিয়োগে আইনের কোনো ব্যত্যয় হলে আপনারা তখন আদালতে আসতে পারেন।
[৩] সোমবার (০২ আগস্ট) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের বিশেষ হাইকোর্ট বেঞ্চ রিটকারীদের আইনজীবীদের উদ্দেশে এ মন্তব্য করেন।
[৪] আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ন ও অ্যাডভোকেট মো. মশিউর রহমান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।
[৫] গত ২৯ জুলাই ৩৯তম বিসিএসে (বিশেষ) উত্তীর্ণদের মধ্য থেকে চিকিৎসক নিয়োগের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন দায়ের করা হয়।
[৬] ৩৯তম বিসিএসে উত্তীর্ণ ডা. রাফা মো. নুরুল ইসলামসহ ১৩৬০ শিক্ষার্থীর পক্ষে সম্পূরক এ রিট দায়ের করা হয়। তাদের পক্ষে অ্যাডভোকেট মো. মশিউর রহমান এ রিট দায়ের করেন।
[৭] অ্যাডভোকেট মো. মশিউর রহমান বলেন, ২০১৮ সালে ৩৯তম বিসিএস (বিশেষ) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এ পরীক্ষায় চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ হয়ে তালিকাভুক্ত হন সহকারী সার্জন পদে ১৩ হাজার ২১৯ চিকিৎসক। এরমধ্য থেকে প্রথম দফায় ৪ হাজার ৫৪২ জন চিকিৎসককে স্বাস্থ্য ক্যাডারে নিয়োগ দেয় সরকার। তখন বলা হয়েছিলো- এরা উভয় পরীক্ষায় কৃতকার্য হলেও শূন্য পদ না থাকার কারণে তাদের নিয়োগের বিষয়ে সুপারিশ করা গেলো না। পরবর্তীতে নিয়োগের রিকুইজিশন পাওয়া গেলে নন-ক্যাডার হিসেবে বিধিবিধান অনুসরণ করে নিয়োগ দেয়া হবে। এরপর গত বছর যখন করোনার প্রাদুর্ভাব বেড়ে গেল তখন আরো ২ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ দেয়া হয়। বাকি থাকে সাড়ে ৬ হাজার চিকিৎসক।
[৮] তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি নতুন করে ৪ হাজার চিকিৎসক নিয়োগের ঘোষণা দেয় সরকার। তারপরই বলা হয় নতুন এ নিয়োগ ৪২তম বিসিএস (বিশেষ) থেকে নেওয়া হবে। এ কারণেই আমরা আদালতে আবেদন করেছি। আবেদনে ৩৯তম বিসিএসে (বিশেষ) উত্তীর্ণ তালিকাভুক্ত সাড়ে ৬ হাজার চিকিৎসক থেকে নিয়োগের নির্দেশনা চেয়েছি। সম্পাদনা: মিনহাজুল আবেদীন।
আপনার মতামত লিখুন :