রাশিদুল ইসলাম : [২] ভারতের উত্তর প্রদেশের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ও সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব বলেছেন, বিজেপি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিদ্বেষ ছড়াতে ‘ই-রাবণ’ ব্যবহার করছে। রাবণের মতো তারা ছদ্মবেশ ধারণ করে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিথ্যা ও গুজব ছড়ায়। রোববার বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল ‘আজতক’ হিন্দি ওয়েবসাইটে ওই তথ্য প্রকাশ করা হয়।
[৩] অখিলেশ বলেন, বিজেপি উত্তর প্রদেশে ২০২২ সালে বিধানসভা নির্বাচনের আগে প্রচারণা ও বিদ্বেষ ছড়াতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ই-রাবণদের ব্যবহার করছে। তিনি তার দলীয় কর্মীদের বিজেপি’র পক্ষ থেকে নিজ রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বিষয়বস্তু সম্পর্কে সতর্ক করেছেন এবং তাদের শৃঙ্খলাবদ্ধ হতে বলেছেন।
[৪] এ প্রসঙ্গে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ‘উদার আকাশ’ পত্রিকার সম্পাদক ফারুক আহমেদ রোববার রেডিও তেহরানকে বলেন, ওদের কাজ হচ্ছে মিথ্যা ও অর্ধসত্য তুলে ধরে প্রচারণা চালানো, মানুষে মানুষে বিদ্বেষ ছড়ানো। এভাবে বিভাজন ঘটিয়ে তারা ভোটযুদ্ধে সুবিধা পাওয়ার চেষ্টা চালায়। পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি এ ধরণের কৌশল নিয়ে চূড়ান্তভাবে ব্যর্থ হয়েছে। উত্তর প্রদেশে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনেও মানুষ বিজেপিকে প্রত্যাখ্যান করবে। কারণ করোনাভাইরাসে মানুষের মৃত্যুমিছিল ঠেকাতে ব্যর্থ হয়েছে রাজ্যের বিজেপি সরকার। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলাও তলানিতে। মানুষজন ক্ষোভে ফুঁসছেন। আসন্ন নির্বাচনে ভোট বাক্সে তার প্রভাব পড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।’
[৫] অখিলেশ বলেন, ‘ছদ্ম বিজেপি নেতারা’ সমাজবাদী সমর্থক হিসেবে প্রতারণা করে এবং ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে অশালীন মন্তব্য পোস্ট করে। তিনি বলেন, ‘আমি আমার দলীয় কর্মীদের সতর্ক থাকতে এবং এ ধরনের সন্দেহজনক উপাদানগুলোর কার্যকলাপের উপরে নজর রাখতে বলেছি। দলীয় কর্মীদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপত্তিকর কিছু শেয়ার, উত্তর বা ফরোয়ার্ড না করতে এবং ওই বিষয়ে দলকে রিপোর্ট করতে বলা হয়েছে।’
[৬] অখিলেশ যাদব আরও বলেন, ‘যেহেতু রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন আসন্ন সেজন্য, বিজেপির লোকেরা যেকোনো কিছু করতে পারে, কারণ তারা ক্ষমতা দখলের জন্য জনগণকে বোকা বানাতে মিথ্যা ছড়ানোতে পারদর্শী। তাদের লক্ষ্য হল মূল ইস্যুগুলো থেকে জনগণের দৃষ্টি অন্যদিকে ঘুরিয়ে দেওয়া।’
[৭] এদিকে, সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদবের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে উত্তর প্রদেশ বিজেপির মুখপাত্র মণীশ শুক্লা গণমাধ্যমে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, ‘তিনি (অখিলেশ) যাদেরকে ‘ই-রাবণ’ বলে উল্লেখ করছেন তারা আসলে ‘ই-যোদ্ধা’, যারা সমাজবাদী পার্টির আসল চেহারা উন্মোচন করছে।’
[৮] অন্যদিকে, উত্তর প্রদেশে বিরোধী দলগুলোকে টার্গেট করে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোটের সহযোগী রিপাবলিকান পার্টি অফ ইন্ডিয়ার (আরপিআই) সভাপতি এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রামদাস আতাওয়ালে বলেন, বিজেপি’র মোকাবিলা করা কারও পক্ষে সম্ভব নয়। রাজ্যে কংগ্রেস দল শেষ হয়ে গেছে। দলিত ভোট এবং ব্রাহ্মণ সমাজ সবাই বিজেপির সঙ্গে থাকবে বলেও ‘আরপিআই’ সভাপতি ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রামদাস আতাওয়ালে মন্তব্য করেছেন।
আপনার মতামত লিখুন :