শিরোনাম
◈ ফরিদপুরে সড়ক দুর্ঘটনা, সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন ◈ সরকারের অব্যবস্থাপনার কারণেই সড়ক দুর্ঘটনার মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে: মির্জা ফখরুল ◈ বাংলাদেশের রাজনীতির অবনতি দুঃখজনক: পিটার হাস ◈ সয়াবিন তেলের দাম লিটারে বাড়লো ১০ টাকা  ◈ নির্বাচনি ইশতেহারের আলোকে প্রণীত কর্মপরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়নের আহবান শিল্পমন্ত্রীর  ◈ প্রচণ্ড গরম থেকেই ঘটতে পারে মানবদেহের নানা রকম স্বাস্থ্য ঝুঁকি ◈ অবশেষে রাজধানীতে স্বস্তির বৃষ্টি  ◈ ইসরায়েল পাল্টা হামলা করলে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে জবাব দেবে ইরান: উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ মিয়ানমারের আরও ১৫ সেনা সদস্য বিজিবির আশ্রয়ে ◈ সয়াবিনের দাম বাড়ানোর সুযোগ নেই: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশিত : ০১ আগস্ট, ২০২১, ০৩:০৯ দুপুর
আপডেট : ০১ আগস্ট, ২০২১, ০৩:০৯ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

দীপক চৌধুরী: বিশ্বচিন্তাবিদদের তালিকায় শেখ হাসিনা সুতরাং এটা ‘মূর্খ’ সমালোচকদের মনে রাখতে হবে

দীপক চৌধুরী: আওয়ামী লীগের উপকমিটির সদস্যপদ থেকে বহিষ্কৃত হেলেনা জাহাঙ্গীরকে গ্রেপ্তারের পর র‌্যাব বলেছে, তার উচ্চাভিলাষী উদ্দেশ্য রয়েছে। তা বাস্তবায়নে নানাবিধ উপায়ে অবৈধপথে অপকৌশল ও প্রতারণার আশ্রয় নিতেন। শুধু কী হেলেনা ? না, আরো অনেকে। অতীত ও বর্তমান সময়ের সকল মহামারির মধ্যে করোনা এক ভয়ংকর সংক্রমণ। গোটা বিশ্ব বিধ্বস্ত এই করোনায়। কিন্তু এই বলে দুর্নীতিবাজ, লুটেরা ও অসৎ ব্যক্তিরা অপকর্ম বন্ধ করে বসে নেই। করোনার পজিটিভ-নেগেটিভ সার্টিফিকেট বিক্রি করেছিল মোহাম্মদ সাহেদ। করোনা উপলক্ষে গরিব মানুষের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া সাহায্য নিজেদের জন্য তুলে নিয়ে যান স্থানীয় জনপ্রতিনিধি। দরিদ্র মানুষকে দেওয়া ঘর-বাড়ি নিয়েও চলে অপকর্ম, অনিয়ম-দুর্নীতি। যেনো অসহায় মানুষকে নিয়ে একশ্রেণির লোক মশকরা করছে। তবে, স্বস্তির কথা যে, দুর্নীতিবাজ-প্রতারকদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে এই আমলে। রেহাই পাচ্ছে না তারা। আগে গ্রেপ্তার করা হতো না, শাস্তিও না। এখন রেহাই পাচ্ছেন না দলীয় লোক হলেও। কারণ, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা ক্ষমতায়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার মাধ্যমে বাংলাদেশে সৃষ্টি হয় সকল অনৈতিক কর্মকাণ্ড, মিথ্যাচার ও দুর্নীতি। এটা দীর্ঘদিন চলে।

এটা শোকের মাস আগস্ট। শোকের মাসে নানা ধরনের ইতিহাস মনে পড়ে। স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্রের স্থপতি, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করা হয় এ মাসে। নরপিশাচরূপি খুনিরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেই ক্ষান্ত হয়নি, বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার প্রক্রিয়া বন্ধ করতে ঘৃণ্য ইনডেমনিটি আইন জারি করে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট থেকে দীর্ঘ ২১ বছর বাঙালি জাতি বিচারহীনতার কলঙ্কের বোঝা বহন করতে বাধ্য হয়।

পিতার পর শেখ হাসিনাকেও হত্যার অপচেষ্টা চালানো হয়। হত্যার টার্গেট করা হয় ১৭ বার। সপরিবারে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার, যুদ্ধাপরাধীর বিচার, নারকীয় বিডিআর হত্যাযজ্ঞের বিচার করতে সক্ষম হয়েছে তাঁর সরকার। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার বিচার হয়েছে। জনগণের সকল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ জননেত্রী শেখ হাসিনাকে টার্গেট করার মূল কারণ, কোনো লোভ বা ভয় দেখিয়ে তাঁকে কোনোভাবেই দেশপ্রেম থেকে দমানো যায় না। পৃথিবীর ইতিহাসে যে কয়জন সৎ, মানবতাবাদী, গণতন্ত্রপ্রেমী, মহান রাষ্ট্রনায়ক বা সরকারপ্রধান জন্মগ্রহণ করেছেন তিনি তাঁদের অন্যতম। মানব কল্যাণের অগ্রদূত, বাঙালির সভ্যতা-সংস্কৃতিতে জাগ্রত তিনি। রাজনৈতিক দূরদর্শিতায় অসাধারণ দক্ষ জননেত্রী শেখ হাসিনা প্রকৃত অর্থেই দেশরত্ন। বিশ্বচিন্তাবিদদের তালিকায় তিনি। তরুণ-তরুণীদের ভরসার জায়গা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মেধা, শ্রম ও দক্ষতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চারিত্রিক দৃঢ়তার এক উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য। তাঁর মতে, দুর্নীতিকে ঘৃণা করার মানসিকতা সবার মধ্যেই থাকা দরকার। সাংবাদিক ও লেখক হিসেবে আমি মনে করি, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের মতো বাংলাদেশেও সর্বোচ্চ শাস্তি মৃতুদণ্ড। কিন্তু এটাও জানি, আমাদের দেশে সরকার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে শাস্তির মেয়াদ বদলে যায়। খুনি বা দুর্ধর্ষ ডাকাত, দুর্নীতিবাজ ও লুটেরাদের রাতারাতি মুক্তি দেওয়া হয়। রাজনীতি এজন্যেই দুর্নীতিগ্রস্ত হয়, লুটপাটের আবির্ভাব ঘটে। এখান থেকে আমাদের বেরুতে হবে; বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা এটাই চান। মন্ত্রী-এমপি, শিল্পপতি, ব্যবসায়ী, রাজনীতিক, আইনজীবী, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, লেখক-সাংবাদিক তথা শক্তিধর খুঁটির জোর যতই শক্তিশালী হোক না কেন, শাস্তি পেতেই হবে। অবশ্য শাস্তি পাচ্ছে, ধরা হচ্ছে, জেল খাটছে এমন প্রতাপশালীরাও আছে। ভয়ংকর প্রতাপের সঙ্গে যারা দিনকে রাত করতো তারা অনেকেই এখন জেলে। আগে জেলে দেওয়া হতো না, শাস্তি হতো না। আইনের শাসন বলতে কিছুই ছিল না। জিয়া, এরশাদ, খালেদা জিয়ার আমলে মাসলম্যান আর দুর্নীতিবাজদের প্রভাব ছিল সর্বত্র। এসবের অসংখ্য উদাহরণ দেওয়া যায়। তাদের হাতে অনেক কিছু নিয়ন্ত্রণ হতো। রাজধানীর ফুটপাত থেকে ইউনিয়ন পরিষদের বারান্দা পর্যন্ত যেমন এদের হাত ছিলো, তেমনই রাষ্ট্রের সকল গণমুখী কর্মকাণ্ডের সিদ্ধান্ত হতো তাদের ইচ্ছেয়। তাদের আমলে জনগণের ক্ষমতায়ন নিয়ে তামাশা চলেছে দীর্ঘদিন।

লেখক : উপ-সম্পাদক, আমাদের অর্থনীতি, কলামিস্ট ও কথাসাহিত্যিক

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়