শিরোনাম

প্রকাশিত : ০১ আগস্ট, ২০২১, ০২:২৩ দুপুর
আপডেট : ০১ আগস্ট, ২০২১, ০২:২৪ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] সুন্দরবন রক্ষায় মন্ত্রণালয়-উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠার সুপারিশ করেছেন হাইকোর্ট

বাশার নূরু: [২]জীববৈচিত্য ধ্বংস বা ইকোসাইডকে মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গে তুলনা। [২] হাইকোর্টের বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ ‘বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) বনাম সরকার ও অন্যান্য’ মামলার পূর্ণাঙ্গ রায়ে এ সুপারিশ করেছেন। সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে এ রায় প্রকাশ করা হয়েছে।

[৩] নবায়নযোগ্য জ্বালানি আইন প্রণয়ন, নবায়নযোগ্য জ্বালানি মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা, জাতীয় নবায়নযোগ্য জ্বালানি কমিশন গঠনের কথাও বলা হয়েছে আদালতের রায়ে।

[৪]রায়ে জীববৈচিত্য ধ্বংস বা ইকোসাইডকে মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গে তুলনা করেছেন হাইকোর্ট। বিচারের জন্য এ ধরনের অপরাধকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনে অন্তর্ভুক্তকরণেরও সুপারিশ করেছেন আদালত।

[৫]রায়ে আদালত বলেছেন, পরিবেশের ধ্বংস মূলত বেশি সংঘটিত হয় মানুষে মানুষে হানাহানির কারণে। আধুনিক উদাহরণ- ইরাক, সিরিয়া ও আফগানিস্তানের যুদ্ধ। প্রতিটি যুদ্ধই মানুষ হত্যার সঙ্গে সঙ্গে গাছপালা, প্রাণী ও জীববৈচিত্য পরিবেশ-প্রতিবেশ ধ্বংস করে। একটি সম্প্রদায়কে, একটি জাতিকে, একটি গোষ্ঠীকে, একটি সংখ্যালঘু ধর্মীয় মতাবলম্বীকে অপেক্ষাকৃত শক্তিশালী পক্ষ বা গোষ্ঠী কর্তৃক নির্মূল বা ধ্বংস বা হত্যা করা জেনোসাইড। তেমনি ইকোসাইড হলো- জীববৈচিত্য, প্রাণীজগৎ, পাখি, গাছপালাসহ যেকোনো প্রাণকে হত্যা করা। সে জন্য ইকোসাইডকে ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইমস ট্রাইব্যুনাল অ্যাক্টে অন্তর্ভুক্তের কথা বলেছেন হাইকোর্ট।

[৬] বাংলাদেশকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্নের পরিবেশবান্ধব উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে ১৪ দফা সুপারিশ করেছে হাইকোর্ট। এসব সুপারিশ দ্রুত বাস্তবায়নে পদক্ষেপ নিতেও সরকারকে বলা হয়েছে।রায়ে বলা হয়েছে, পরিবেশের অপর নাম শান্তি। পরিবেশসম্মত শাসনব্যবস্থা তথা পরিবেশকে সুরক্ষাকারী শাসনব্যবস্থা যেমনি বিবাদ ও বিরোধ কমিয়ে আনে তেমনি স্থানীয় ও বৈশ্বিক নিরাপত্তাও নিশ্চিত করে। তাই সব উন্নয়ন পরিকল্পনায় ইকোসেন্ট্রিক (প্রকৃতিকেন্দ্রিক) পন্থা গ্রহণ করা দরকার।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়