রাশিদুল ইসলাম : [২] ওই চারটি দেশের সিনিয়র কর্মকর্তারা বৈঠকে বসছেন আফগানিস্তানকে আরেকটি গৃহযুদ্ধ থেকে বাঁচাতে। আগামী ১১ আগস্ট এ বৈঠক শুরু হবে। এক্সপ্রেস ট্রিবিউন
[৩] বাণিজ্য ও সামরিক অবস্থান থেকে চীন, যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যে পৃথক নীতি ও মতদ্বৈততা থাকলেও আফগান প্রশ্নে এসব দেশের নীতিনির্ধারকরা এক গ্রহণযোগ্য ফয়সালা খুঁজে বের করতেই এ বৈঠকে বসছেন।
[৪] চীন ও রাশিয়া ইতিমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের কড়া সমালোচনা করে বলেছে ওয়াশিংটন আফগানিস্তানে সন্ত্রাস দূর ও শান্তি স্থাপনে চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে এবং একতরফা সেনা ফিরিয়ে নেওয়ায় সেখানকার পরিস্থিতি ফের উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে উঠেছে। তবে বাইডেন প্রশাসনের ওপর মার্কিন সিনিয়র সামরিক কর্মকর্তাদের আফগানিস্তান থেকে সেনা ফিরিয়ে নেওয়ার প্রচণ্ড চাপ সৃষ্টির পর যুক্তরাষ্ট্র দেশটি থেকে সেনা ফিরিয়ে নিতে শুরু করে। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পও একই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।
[৫] ইতিমধ্যে দোহায় আফগান সরকার ও তালেবানদের মধ্যেকার বৈঠকে যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্ত ছাড়াই তা ব্যর্থ হয়ে যায়। তালেবান প্রতিনিধিরা তেহরান ও বেইজিং সফর করেছেন। তবে এ চারটি দেশের প্রতিনিধিরা গত এপ্রিলে দোহায় এক সভায় মিলিত হন। তবে ওই বৈঠক সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি।
[৬] আফগানিস্তান পরিস্তিতির আরো অবনতি হলে ইরান, তাজিকিস্তান, পাকিস্তান, রাশিয়া ও চীনের সঙ্গে দেশটির সীমান্ত থাকায় এসব দেশ নতুন করে সংকটের শঙ্কা করছে। তবে বেইজিংয়ে তালেবান প্রতিনিধিদল বলেছেন তারা এমন কিছু করবেন না যা এসব দেশের জন্যে ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াবে। এসব দেশ নতুন করে আফগান শরণার্থী ঢুকে পড়ারও শঙ্কা করছে।
আপনার মতামত লিখুন :