শরীফ শাওন: [২] করোনা সংক্রমণ রোধে ৫ আগস্ট পর্যন্ত লকডাউন থাকলেও ১ আগস্ট থেকে পোশাক কারখানা খোলার সিদ্ধান্ত হয়। শ্রমিকদের কর্মস্থলে ফিরাতে মুঠোফোনে নির্দেশনা দেয় কারখানা কর্তৃপক্ষ। দূরপাল্লার বাস, গণপরিবহন, লঞ্চ ও স্পিডবোট বন্ধ থাকায় ফেরিতে পারাপার হচ্ছেন শ্রমিকরা। পরিবহন ব্যবস্থা না থাকায় বাড়তি ভাড়াসহ শ্রমিকদের ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।
[৩] সল্প সময়ের নোটিশে কর্মস্থলে ফিরতে সারাদেশ থেকে একযোগে মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ও মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটে জনসমুদ্র পরিলক্ষিত হয়। তথ্য অনুসারে তৈরি পোশাক কারখানার অধিকাংশই রয়েছে ঢাকা, গাজীপুর, সাভার ও আশুলিয়ায়। এ খাতে শ্রমিক ৪০ লাখের অধিক।
[৪] বিআইডব্লিউটিসি বাংলাবাজার ঘাট ম্যানেজার মো. সালাউদ্দিন বলেন, নৌরুটে শনিবার সকাল থেকে ১০টি ফেরি চলছে। পণ্যবাহী ট্রাক, অ্যাম্বুলেন্সসহ জরুরি গাড়ি পারাপার করা হচ্ছে। ভিড় থাকায় ফেরিতে যাত্রীদেরও পার করা হচ্ছে।
[৫] শ্রমিকদের অভিযোগ, পরিবহণ ব্যবস্থা না থাকায় ফেরিঘাটে আসতে যাত্রীদের দীর্ঘ পথ পায়ে হেঁটে, আবার ছোট যানবাহনে ভেঙে ভেঙে পাড়ি দেওয়া ছাড়াও অধিক ভাড়া গুণতে হচ্ছে অভিযোগ যাত্রীদের।
[৬] শ্রমিক আকলিমা, সুমি, মামুন ও সোহেল জানান, পরিবহন না থাকায় তিন থেকে চারগুণ বেশি ভাড়া দিয়ে ঢাকায় ফিরতে হয়েছে। এছাড়াও পাটুরিয়া ও আরিচা ঘাট থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার পথ পায়ে হেটে বিভিন্ন ষ্টেশনে এসে ছোট যানবাহনে ঢাকায় পাড়ি দিয়েছেন তারা। প্রাইভেটকার, মোটরসাইকেল ও সিএনজিতে জনপ্রতি প্রায় ১ হাজার টাকা গুণতে হচ্ছে যাত্রীদের।
আপনার মতামত লিখুন :