মাসুদ আলম : [২] শনিবার ডিএমপি (মিডিয়া) সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে ডিবির প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার হাফিজ আক্তার বলেন, প্রতি বছর সরকার বন্ড সুবিধার আওতায় ৭৩ হাজার কোটি টাকা শুল্কমুক্ত সুবিধা দিয়ে থাকে। আইন অনুযায়ী লাইসেন্সপ্রাপ্তরা এই সুবিধার আওতায় বন্ডের পণ্য বিদেশে রফতানি ছাড়া দেশের কোথাও বিক্রি করতে পারবেন না। বিক্রি করলে বন্ড কমিশনারের কাছে ২০ শতাংশ কমিশন বাণিজ্য শুল্ক প্রদান করে এবং অনুমতি নিয়ে বিক্রি করতে পারবেন। কিন্তু একটি চক্র বন্ড সুবিধায় আনা পণ্য চোরাইভাবে খোলা বাজারে বিক্রি করত। বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর নিউমার্কেট ও তেজগাঁও এলাকা থেকে চক্রের ১১ জনকে গ্রেপ্তার করে ডিবি লালবাগ বিভাগ।
[৩] তিনি আরও বলেন, গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, শাহাদাত হোসেন, সাইফুল ইসলাম জীবন, রুবেল আকন, মো. মাসুম, মনির হোসেন, রবিন ওরফে হৃদয় সরদার, শাহিন হাওলাদার, আরিফ হোসেন, সোহাগ ফরাজী, নাজিম ও কামাল হোসেন। তাদের কাছ থেকে বন্ড সুবিধায় আমদানি করা ১৮ হাজার ৭৫০ কেজি চোরাই কাপড় বোঝাই ৬টি কাভার্ডভ্যান উদ্ধার করা হয়। কাপড়ের বাজার মূল্য প্রায় ১ কোটি ২৭ লাখ টাকা।
[৪] তিনি বলেন, কাপড়গুলো চীন থেকে চট্টগ্রামে আসে, এরপর ময়মনসিংহ ভালুকায় যায়। পরে সেখান থেকে রাজধানীর সাত রাস্তা হয়ে এলিফ্যান্ট রোড এলাকায় যাচ্ছিল। তারা বন্ড সুবিধায় বিদেশ থেকে শুল্কমুক্ত কাপড় আমদানি করে। এসব কাপড় অতিরিক্ত লাভের উদ্দেশে সুবিধামতো সময়ে চোরাইপথে খোলা বাজারে বিক্রি করত। এতে করে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারাচ্ছে। তারা উৎপাদিত পন্যের ন্যায্য মূল্য না পাওয়ায় প্রতিযোগিতার বাজারে ক্রমান্বয়ে নিয়ন্ত্রণ হারাচ্ছে। একটি গবেষণায় দেখা গেছে, এ কারণে ৮০ হাজার কোটি টাকা বন্ড সুবিধার অপব্যবহারে রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। পাশাপাশি শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোও লোকসান ও হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন :