মাহবুব কবির মিলন: ভ্যাকসিন রেজিস্ট্রেশন করার সময় আপনি যে টিকা কেন্দ্র সিলেক্ট করেছিলেন, আপনার এসএমএস আসবে সেই কেন্দ্রের আবেদনকারীদের সিরিয়াল অনুযায়ী। মনে করুন আপনি সিলেক্ট করেছেন, ঢাকা মেডিকেল কলেজ। এই কেন্দ্রের প্রতিদিন রেজিস্ট্রেশন হয় ১০ হাজার। ঢাকা মেডিকেল কলেজের সব বুথ মিলিয়ে সর্বোচ্চ টিকা দিতে পারে সর্বোচ্চ দিনে ৩০০০ জনকে। তাহলে প্রতিদিন বাদ যাচ্ছে ৭০০০ জন। পরেরদিন এই ৭০০০ এর মধ্যে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ৩০০০ জনকে টিকা দেওয়া হবে। আবার প্রতিদিন এই কেন্দ্রের রেজিস্ট্রেশন জমা হচ্ছে ১০০০০ জন।
এবার নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন, বর্তমানে টিকা নেওয়ার আগ্রহীদের প্রচণ্ড চাপে আপনার এসএমএস পেতে কতোদিন লাগতে পারে। এজন্যই দেখবেন একই সময় রেজিস্ট্রেশন করে শুধু কেন্দ্রের ভিন্নতার কারণে কেউ আগে, কেউ অনেক পরে পাচ্ছেন এসএমএস। প্রথমবার এত চাপ ছিল না। রেজিস্ট্রেশনের কয়েকদিনের মধ্যেই সবাই টিকা দিতে পেরেছে। চাহিদা বাড়ার সাথে সাথে সেবা বাড়ানো গেলে এতো এসএমএস পেন্ডিং থাকবে না ইনশাআল্লাহ।
আগামি ৭ আগস্ট হতে দেশের প্রতিটি ইউনিয়নের ইপিআই টিকাদান কেন্দ্রে রেজিস্ট্রেশন ছাড়া শুধু এনআইডি কার্ড নিয়ে গেলেই ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে সবাইকে সেখানে রেজি. সহ টিকা দেওয়া হবে। ১৮ বছরের উর্ধ্বে যাদের এনআইডি নেই, তাদের ব্যাপারে শীঘ্রই সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। যারা তখন পর্যন্ত এসএমএস পাবেন না, তারা কার্ড ডাউনলোড করেও ইউনিয়ন পর্যায়ে টিকা দিতে পারবেন। সরকারি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীরা এরমধ্যে রেজি. করতে না পারলে, অপেক্ষা না করে ১৮+ সবাই ৭ আগস্ট থেকে ইউনিয়ন কেন্দ্র হতে টিকা নিয়ে ফেলবেন। আগামী মাসে এভাবে গণহারে টিকা প্রদানের ব্যবস্থা করেছে সরকার। বলা যায় সরকার একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিয়েছে।
মধ্যপ্রাচ্যগামী প্রবাসীদের টিকে দিতে হলে বিএমইটি’র ‘আমি প্রবাসী’ অ্যাপের মাধ্যমে পাসপোর্ট দিয়ে সেখানে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। সেখান থেকে তথ্য চলে যাবে সুরক্ষা সার্ভারে। এরপর আপনারা সুরক্ষা ওয়েবপেজের ওপরে পাসপোর্ট নিবন্ধন ট্যাব ক্লিক করে টিকা রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন। যদিও বিএমইটিতে পাসপোর্ট ভেরিফিকেশন করতে কিছুটা দেরি হচ্ছে। গর্ভবতী এবং দুগ্ধদানকারী মায়েদের ভ্যাকসিনের ব্যাপারে এখনো অফিসিয়াল সিদ্ধান্ত হয়নি। শুনেছি দ্রুতই হবে। কেউ বিদেশের মতো নিতে চাইলে নিজের রিস্কেই ভ্যাকসিন নিতে হবে।
আমার আম্মার বয়স ৭৫+। তিনি সিভিয়ার এজমার রোগী। সামান্য জ্বর আর গায়ে ব্যাথা শুরু হলে কোভিড টেস্ট করে ফলাফল দেখে মাথা ঘুরে গেলো। কোভিড পজিটিভ। সবসময় আল্লাহ আল্লাহ করেছি আব্বা আম্মার যেন করোনা না হয়। কারণ আম্মার স্বাসটান আছে অনেক আগে থেকেই। তাঁর করোনা হলে আর বাঁচানো যাবে না। আব্বার বয়স ৮২+। আম্মার আজ আটদিন হলো। সবাইকে হতবাক করে দিয়ে আল্লাহর রহমতে তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ আছেন এখনো। বাসায় আছেন। অক্সিজেন ৯৪/৯৫ নিচে নামেনি। বুকের সিটি স্ক্যানের রিপোর্ট সম্পূর্ণ ভালো, কোনো ইনফেকশন নেই। ডি ডাইমার থেকে শুরু করে সব প্যারামিটার স্বাভাবিক আছে। আলহামদুলিল্লাহ। আম্মাকে দুই ডোজ কোভিশিল্ড দিয়েছিলাম কয়েক মাস আগে। ভ্যাকসিন দিয়ে করোনায় আক্রান্ত হয়ে পাঁচজন মারা গেলে সুস্থ হচ্ছে পঁচানব্বই জন। কাজেই এই পঁচানব্বইজনের দলে থাকতে হলে আপনাকে ভ্যাকসিন নিতেই হবে। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :