মোঃআদনান হোসেন: [২]-দৈনিক "আমাদের নতুন সময়"পত্রিকায় ধামরাইয়ের নওগাঁও নদী ভাঙ্গনের খবর প্রকাশের দিনই ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন পানি উন্নয়ন বোর্ড (ঢাকা বিভাগ) উপ-সহকারী প্রকৌশলী নূরুল আমিন ও সার্ভেয়ার প্রকৌশলী সাকিব মজুমদার। পরিদর্শন শেষে এর প্রতিবেদন জেলা প্রশাসক, পানি উন্নয়ন বোর্ড ও ধামরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর পাঠানো হয়।
[৩] এরপর গত বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে ধামরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হোসাইন মোহাম্মদ হাই জকী ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) শেখ নুরুল আলম চয়ন ঘটনা স্থান পরিদর্শন করেন এবং ভাঙ্গন প্রতিরোধ করতে ৫ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেন। নদী ভাঙগন প্রতিরোধে ৫ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেয়ার পর শুক্রবার থেকে ধামরাইয়ের সুতিপাড়া ইউনিয়নের নওগাঁও এলাকার গাজীখালি নদী ভাঙন প্রতিরোধে কাজ করা হচ্ছে।
[৪] এর আগে ''[১] ধামরাইয়ে নদীর ভাঙন, ঝুঁকিতে বিদ্যালয়সহ শতবর্ষী গাছ'' শিরোনামে 'দৈনিক আমাদের সময়. কম খবর প্রকাশিত হয়। খবর প্রকাশের আগের দিন ধামরাইয়ের গাজীখালি নদী ভাঙগনের বিষয়ে দৈনিক আমাদের নতুন সময় পত্রিকার ধামরাই উপজেলার প্রতিবেদক বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (ঢাকা বিভাগ) নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান আইনুল হক কে মুঠোফোনে ফোন করেন বক্তব্য নেয়ার জন্য।
[৫] এর কিছুক্ষণ পরই পানি উন্নয়ন বোর্ড (ঢাকা বিভাগ) উপ-সহকারী প্রকৌশলী নূরুল আমিন দৈনিক আমাদের নতুন সময় পত্রিকার প্রতিবেদক কে ফোন করে বিস্তারিত জানেন এবং বলেন আগামী কালই আমারা ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যাবো। পরে তারা পরিদর্শন শেষে প্রতিবেদন জমা দেন জেলা প্রশাসক ও ধামরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর।
[৬] নওগাঁও বাজার বনিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাসুদ পারভেজ দৈনিক আমাদের নতুন সময় পত্রিকার প্রতিবেদক কে ধন্যবাদ জানান এবং বলেন সাংবাদিকরা নিউজ করার পরই সবাই সচেতন হয়েছে। এখন ভাঙগন রোধে ৫ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে এর জন্য প্রশাসন কে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই।
[৭] সুতিপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রেজাউল করিম (রাজা) জানান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সহকারী কমিশনার ভূমি দুজনই এসে পরিদর্শন করেন এবং ভাঙগন প্রতিরোধে ৫ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেন। উপজেলার প্রকৌশলীর নির্দেশনা অনুযায়ী ভাঙগন প্রতিরোধে কাজ চলছে।
[৮] ধামরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হোসাইন মোহাম্মদ হাই জকী জানান, বৃহস্পতিবার আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি এবং নদী ভাঙগন প্রতিরোধের জন্য ৫ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। উপজেলা প্রকৌশলী আজিজুল হকের পরামর্শ অনুযায়ী নদীর দু'পাশে ভাঙগন প্রতিরোধে বাঁশ ও বালুর বস্তা দিয়ে বাঁধ দেয়া হচ্ছে।
[৯] উলেখ্য, গত সোমবার রাতে ধামরাই উপজেলার সুতিপাড়া ইউনিয়নের নওগাঁও বাজারের ২টি দোকান ঘর নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। সেই সাথে বাজারের আরও ১৫ টি দোকান ও একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় সহ শতবর্ষী গাছ ভাঙগনের ঝুঁকিতে রয়েছে। দ্রত এর প্রতিকার হওয়াতে সবাই আন্তরিক ভাবে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে।
আপনার মতামত লিখুন :