[১] চোখের সামনেই বিলীন হচ্ছে বসতভিটা, অসহায় কয়েক’শ পরিবার
সোহেল মিয়া: [২] ঘুম ভাঙার আগেই ভেঙে যাচ্ছে মানুষের স্বপ্ন। চোখের সামনে বিলীন হয়ে যাচ্ছে বসতভিটা। নদী ভাঙনের শব্দে ঘুম ভাঙছে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়ার পদ্মা পারের কয়েক শত অসহায় পরিবারের। নিরুপায় হয়ে বাপ-দাদার ভিটা ছেড়ে অন্যত্র যেতে হচ্ছে এ সকল মানুষের।
[৩] রাজবাড়ীর সদর উপজেলার মিজানপুর ও বরাট ইউনিয়নের গোদারবাজার অংশে কংক্রিট দিয়ে নির্মিত সিসি ব্লকের ১৫০ মিটটার অংশে ব্যাপক ভাঙনের পর শুক্রবার (৩০ জুলাই) সকালে গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ইউনিয়নের ফেরিঘাট এলাকায় দ্বিতীয় দফায় ভাঙন শুরু হয়েছে।
[৪] ভাঙনে নদী তীরবর্তী প্রায় ৩০মিটার অংশ নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। হুমকির মধ্যে রয়েছে শত শত বসতবাড়ী। ভাঙন আতঙ্কে নদীপার থেকে অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছে তাদের ঘরবাড়ী। ভাঙন প্রতিরোধে অনেক আকুতি, মানববন্ধন, স্মারকলিপি সহ নানা কর্মসূচী পালন করা হলেও কার্যত ভাঙন রোধে কার্যকর কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি পানি উন্নয়ন বোর্ড ও বাংলাদেশ অভ্যন্তরীন নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) কর্তৃপক্ষ।
[৫] সরেজমিনে সকালে দৌলতদিয়া এলাকায় দেখা যায়, দৌলতদিয়া লঞ্চঘাট ও ১নং ফেরিঘাটের এলাকায় মজিদ শেখর পাড়ার ৩০মিটার অংশ নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। সকাল সাড়ে ৬টা থেকে শুরু হওয়া ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। দৌলতদিয়া ইউনিয়নের মজিদ শেখের পাড়ার থেকে আবু মেম্বার, আবুল মন্ডল, সোহেল মুন্সী, মোকছেদ মন্ডল, উজ্জল সরদারের বাড়ী সহ বেশ কিছু বাড়ীঘর সরিয়ে নিচ্ছে।
[৬] এদিকে ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করেছেন গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী অফিসার আজিজুল হক খান মামুন, গোয়ালন্দ পৌর মেয়র নজরুল ইসলাম মন্ডল, সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো: রফিকুল ইসলাম।
[৭] স্থানীয় বাসিন্দা চাঁন্দু মোল্লা বলেন, অব্যাহত পদ্মার ভাঙন রোধে কার্যকরি কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি পানি উন্নয়ন বোর্ড। কয়েক বছর ধরে শুনে আসছি ভাঙন রোধে কাজ করা হবে কিন্তু কিছুই হয়নি।
[৮] স্থানীয় হানেফ মন্ডল বলেন, কয়েক বছর পূর্বে ৪-৫ কিলোমিটার দূরে ছিলো পদ্মা নদী। সেখান থেকে শুনে আসতেছি ভাঙন রোধে কাজ শুরু হবে। বালুর বস্তা ছাড়া এখানে কোনও কাজ হয়নি। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ
আপনার মতামত লিখুন :