রাকিবুল আবির: [২] মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন বলেন, ইরান কী করতে চাইছে বা চাইছে না সে বিষয়ে আমরা নজর রেখেছি। এমনকি পরমাণু নিয়ে আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার জন্য আমরা ভিয়েনায় ফিরে যেতেও প্রস্তুত আছি। তবে এই আলোচনা দিনের পর দিন চালিয়ে নেওয়া যায় না। আলজাজিরা, রয়টার্স
[৩] ২০১৫ সালে ভিয়েনায় অনুষ্ঠিত হওয়া পরমাণু চুক্তিতে ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন, রাশিয়া, চীনের পাশাপাশি ইরানও অংশ নিয়েছিলো। এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র পরোক্ষভাবে ইরানের সঙ্গে আলোচনায়ও জড়িত ছিলো।
[৪] এদিকে আয়াতুল্লাহ খামেনি জানান, ২০১৫ সালের পরমানু চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্র আবার বেরিয়ে যাবে না, এমন কোনো নিশ্চয়তা নেই। দেশটি বিদ্বেষপূর্ণ আচরণ করছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। তিনি বলেন, কোনো কারণ ছাড়াই যুক্তরাষ্ট্র চুক্তি লঙ্ঘন করেছে।
[৫] ২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তি অনুযায়ী, ইরান পরমাণু কার্যক্রম সীমিত পরিসরে রাখতে পারবে এবং আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি কমিশন ইরানের পরমাণু স্থাপনায় যেকোনো সময় পরিদর্শন করতে পারবে। এই শর্তে ইরান থেকে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা তুলে নেবে যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় এসে এই চুক্তি থেকে সরে যান। ফলশ্রুতিতে ইরানও চুক্তি থেকে বেরিয়ে যায় এবং ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ করতে শুরু করে। সম্পাদনা: সুমাইয়া ঐশী