আসাদুজ্জামান বাবুল: [২] গোপালগঞ্জ শহরের মাঝখান দিয়ে বয়ে যাওয়া ময়লা-আবর্জনায় পরিপুন সেই বৈরাগীর খালটি সংস্কার করে মানুষের ব্যবহার উপযোগী করায় প্রশংসায় ভাসছেন গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা ও পৌর মেয়র কাজী লিয়াকত আলী লেকু।
[৩] স্বাধীনতা পরবর্তী শহরের থানাপাড়া এলাকায় খালের মাঝখানে রাস্তা নির্মান করায় খালের পানি সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। কচুরীপানায় ভতি বৈরাগী খালে আটকেপড়া পানি সরানোর বিকল্প কোন ব্যবস্থাও কেউ করেনি।
[৪] এক সময় গোটা শহরের সব ধরনের ময়লা-আবর্জনা ছাড়াও খালের দু,পাড়ের মানুষ খালটিতে ময়লা-আবর্জনা ফেলতে শুরু করে। এভাবে দীঘ বছর ধরে খালের ভেতরে ফেলা ময়লা-আবর্জনায় এক সময় খালটি পরিপুন হয়ে পড়ে। খালটির ভেতরের ময়লা-আবর্জনা পচে এক সময় গোটা এলাকায় দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে।
[৫] নিরীবিলি এলাকা হিসেবে পরিচিত দুর্গন্ধযুক্ত বৈরাগী খালের একপাড়ের বাসিন্দা ঢাকা রেঞ্জের পুলিশের ডিআইজি মো, হাবিবুর রহমান হাবিবসহ এলাকার ভুক্তভোগী লোকজন গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানার কাছে বিষয়টি তুলে ধরেন।
[৬] এরপর এলাকাবাসীর দাবি পুরোনে ও জেলা প্রশাসকের কঠোর হস্তক্ষেপছাড়াও পৌর মেয়র কাজী লিয়াকত আলী লেকুর আন্তরিক প্রচেষ্টায় দীর্ঘ ৫০ বছর পর খালটি সংস্কারসহ পানি সরবরাহের জন্য একটি ব্রিজ নির্মাণ করে দুর্গন্ধযুক্ত খালটি পরিস্কার করে মানুষের ব্যবহার উপযোগী করা হয়। মানুষ ও যানবাহন চলাচলে উম্মুক্ত করে দেয়া হয় নবনির্মিত ব্রিজটি।
[৭] আর এ কাজটি করতে উচ্ছেদ করা হয়েছে অসংখ্য অবৈধ স্থাপনা।
আপনার মতামত লিখুন :