লিহান লিমা: [২] মঙ্গলবার রাতে তিউনিসিয়ার সেনাবাহিনীর প্রধান প্রসিকিউটরসহ বেশ কয়েকজন জ্যেষ্ঠ সরকারি কর্মকর্তাকে বরখাস্তের নির্দেশ দেন দেশটির প্রেসিডেন্ট কায়েস সাইদ। বুধবার জাতীয় টেলিভিশনের সিইওকে বরখাস্ত করেন তিনি। আল জাজিরা
[৩] এর আগে দেশটির প্রধানমন্ত্রী হিচেম মেচিচিসহ তিন মন্ত্রীকে বরখাস্তের পাশাপাশি পার্লামেন্ট এক মাসের জন্য স্থগিত করেন সাইদ। এ ছাড়া আইনপ্রণেতাদের দায়মুক্তির সংসদীয় বিধানও তুলে নিয়েছেন তিনি। তিউনিসিয়ার বিচারিক ক্ষমতার পাশাপাশি নির্বাহী ক্ষমতাও এখন ভোগ করছেন তিনি। মঙ্গলবার থেকে টানা এক মাসের কারফিউর ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
[৪] ২০১৯ সালের নির্বাচনের আগে বিদেশিদের কাছ থেকে অর্থ নেয়ার অভিযোগে তিন রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে তদন্তেরও নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
[৫] প্রেসিডেন্ট সাইদের এসব পদক্ষেপকে ‘অভ্যুত্থান’ হিসেবে নিন্দা জানিয়েছে তিউনিসিয়ার বিরোধী দলগুলো।
[৬] ‘আরব বসন্ত’ বিপ্লবের সূচনাকারী দেশ তিউনিসিয়ায় বিপ্লবের মাধ্যমে গণতন্ত্রের সূচনা হলেও কর্মসংস্থান ও অধিকারের আশা গুড়িয়ে যায়। এক দশক ধরে ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে তিউনিসিয়া। করোনা পরিস্থিতি আরো কঠোর করেছে।
[৭] মহামারি মোকাবিলায় অব্যবস্থাপনার কারণে ক্ষমতাসীন দলের বিরুদ্ধে দেশজুড়ে ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে প্রধানমন্ত্রীকে বরখাস্ত করেন প্রেসিডেন্ট সাইদ। ৬৩ বছরের রাজনীতিবিদ ও আইনের অধ্যাপক সাইদ ২০১৯ সালে নির্বাচনে বিপুল বিজয় অর্জন করেছিলেন।
আপনার মতামত লিখুন :