কূটনৈতিক প্রতিবেদক: [২] এ নিয়ে আগস্টে বাংলাদেশের সঙ্গে জাতিসংঘের চুক্তি সই হবে এবং সেপ্টেম্বর থেকে দায়িত্ব নিতে পারে সংস্থাটি। বুধবার এ নিয়ে আলোচনা করতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যান ঢাকায় জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি মিয়া সেপ্পো।
[৩] মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা বলছেন, রোহিঙ্গাদের জীবিকা নির্বাহ ও শিক্ষা ব্যবস্থা মিয়ানমারে অনুসারেই হবে এবং ভাসানচরে সে অনুযায়ী তাদের কাজ ও পড়াশুনার বিষয়টিকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। যাতে তারা মিয়ানমারে ফেরত যাওয়ার পর সেখানে নিজেদের মানিয়ে নিতে পারেন। আর জাতিসংঘ ভাসাচরে সেভাবেই তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করবে।
[৪] এ নিয়ে বাংলাদেশ এবং জাতিসংঘ সম্মত হয়েছে জানিয়ে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেন, কক্সবাজার ও ভাসানচরের পরিবেশ ও পরিস্থিতি যেহেতু ভিন্ন, কার্যক্রমের ধরনও হবে আলাদা।
[৫] ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তা কার্যক্রমে সম্পৃক্ততার বিষয়ে খসড়া চুক্তিতে দুই পক্ষ সম্মত হয়েছে। আশা করি, আগস্টের শুরুতে এটি সই হওয়ার পর সেপ্টেম্বর থেকে মাঠ পর্যায়ে কাজ শুরু করবে জাতিসংঘ।
[৬] গত বছর ৪ ডিসেম্বর ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের স্থানান্তরের পর থেকে এখন পর্যন্ত সরকারের নিজস্ব অর্থায়ন এবং দেশি বিদেশি সাহায্য সংস্থাকে যুক্ত করে কার্যক্রম চালাচ্ছে বাংলাদেশ। এ পর্যন্ত ছয় দফায় মোট ১৮ হাজার ৫২১ জন রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তর করা হয়।
[৭] নর্ডিক রাষ্ট্রদূত, ওআইসি প্রতিনিধি দল, ইউএনএইচসিআর এর দুই সহকারী হাইকমিশনারের ভাসানচর পরিদর্শনের পর শুরু থেকেই ভাসানচরের বিরোধিতা করে আসা জাতিসংঘ তাদের অবস্থান থেকে সড়ে আসে কারিগরি প্রতিনিধি দল পাঠায়। তাদের প্রতিবেদনের পরেই অবশেষে ভাসনচরে রোহিঙ্গাদের সহযোগিতায় সমঝোতা করতে যাচ্ছে বৈশ্বিক এ সংস্থাটি।
আপনার মতামত লিখুন :