জুলফিকার আমীন: [২] পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় চাঞ্চল্যকর অটোচালক আয়নাল হক (৩৫), তার স্ত্রী খুকু মনি (২৫) ও তাদের তিন বছরের একমাত্র মেয়ে আশফিয়া হত্যার এক বছর পার হলেও এখনো অধরা রয়েছে পলাতক দুই আসামি। অলি ওরফে আলী ও তার অজ্ঞাত সহযোগী (নাম জানা যায়নি) গ্রেপ্তার না হওয়ায় মামলার বাদি ও স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
[৩] সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ৩০ জুলাই গভীর রাতে সিঁদ কেটে ঘরে ঢুকে উপজেলার ধানীসাফা গ্রামের অটোচালক আয়নাল, তার স্ত্রী ও মেয়েকে ঘরে ঢুকে হত্যা করেছেন আরেক অটোচালক অলি বিশ্বাস ও তার তিন সহযোগী। হত্যাকাণ্ডের পর আয়নালের ঘরে থাকা টাকা-পয়সা ও স্বর্ণালঙ্কার লুট করে পালিয়ে যান অলি ও তার সহযোগীরা। হত্যাকান্ডে পরের দিন আয়নালের শ্বশুর আবুল কালাম সরদার অজ্ঞাত আসামি করে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
[৪] পরে ক্লু-বিহীন এ ট্রিপল মার্ডারের রহস্য উদঘাটনে যৌথভাবে মাঠে নামে ডিবি, পিবিআই ও সিআইডিসহ পুলিশের পাঁচটি বিভাগ। ঘটনার ৯ দিন পর প্রযুক্তি ব্যবহার করে রহস্য উদঘাটন করে থানা পুলিশ ও জেলা গোয়েন্দা বিভাগ। থানা ও ডিবি পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে গত বছরের ৮ আগস্ট রাতে হত্যাকান্ডের মাস্টার মাইন্ড অলি বিশ্বাসকে (৩৮) সাফা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেন। এরপর অলির দেয়া তথ্য অনুযায়ী তার সহযোগী রাকিবকেও (২০) ওই রাতে ধানীসাফা গ্রামের বসত বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃত অলি উপজেলার ধানীসাফা গ্রামের মৃত. তুজাম্বর আলীর বিশ্বাসের ছেলে এবং অপর আসামি রাকিব একই গ্রামের কাওসার ব্যাপারীর ছেলে। গ্রেপ্তারকৃতরা আদালতের কাছে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার বিষয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।
[৫] মামলার বাদি আবুল কালাম সরদার তার মেয়ে, জামাই ও একমাত্র নাতী হত্যকারী দুই জনকে ওই সময় পুলিশ গ্রেপ্তার করতে পারলেও একবছরে বাকি দুই আসামি গ্রেপ্তার করতে না পারায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
[৬] মঠবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মুহা. নূরুল ইসলাম বাদল জানান, পলাতক দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পুলিশ জোর তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। সম্পাদনা: হ্যাপি
আপনার মতামত লিখুন :