লিহান লিমা: [২] কার্বন নিঃসরণের প্রাণহানিজনিত ক্ষতি বিশ্লেষণ করে করা প্রথম গবেষণায় দেখা গিয়েছে, তিনজন আমেরিকান তাদের দৈনন্দিন জীবনধারা অনুযায়ী যে পরিমাণ কার্বন নির্গমন করে তা পৃথিবীতে একজনকে হত্যা করতে সক্ষম যথেষ্ট পরিমাণ উষ্ণতা সৃষ্টি করে। এবং একটি কয়লা চালিত বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে যে পরিমাণ নিঃসরণ হয় তা ৯’শর ও বেশি প্রাণহানির জন্য দায়ী। গার্ডিয়ান
[৩] ‘কার্বনের সামাজিক ব্যয়’ শীর্ষক এই গবেষণা প্রতিবেদনে প্রতিটন কার্বন ডাই অক্সাইড নিঃসরণের ক্ষয়ক্ষতি এবং জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য দায়ী নিঃসরণের ফলে সম্ভাব্য প্রাণহানির কথা বিবেচনা করা হয়। বিভিন্ন জনস্বাস্থ্য বিষয়ক গবেষণা করে করা এই বিশ্লেষণে বলা হয়, ২০২০ সালে নির্গমন হারের বাহিরে বায়ুমণ্ডলে ৪ হাজার ৪৩৪ মেট্রিক টন সিও২ প্রবেশ করেছে।
[৪] এতে দেখা যায়, বিশ্বব্যাপী একজন ব্যক্তি অতিরিক্ত তামপাত্রার কারণে অকালে মৃত্যুবরণ করেন। এই বাড়তি সিও২ বর্তমানে ৩.৫জন আমেরিকানের গড় নিঃসরণের সমতুল্য।
[৫] গবেষণায় দেখা যায়, যুক্তরাষ্ট্রের কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রে গড়ে যে পরিমাণ নিঃসরণ হয় তা গত বছরের চেয়ে ৪ মিলিয়ন মেট্রিক টন বেশি, যা এই শতাব্দীর শেষ নাগাদ ৯০৪টি জন মানুষের প্রাণহানির জন্য দায়ী। আরো দেখা যা, ২০৫০ সালের মধ্যে যদি পৃথিবীর উষ্ণতা কমানো যায় তবে এই শতাব্দীতেই বিশ্বজুড়ে ৭ কোটি ৪০ লাখ প্রাণ রক্ষা পাবে।
[৬] গত ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত হার্ভাডের এক গবেষণায় দেখা যায়, বায়ু দূষণের সঙ্গে প্রাণহানির বিষয়টি সরাসরি সম্পৃক্ত। প্রতিবছর বিষাক্ত বাতাসের কারণে ৮০ লাখের বেশি মানুষ প্রাণ হারাচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন :