ইফতেখায়ের আলম: [২] চলমান লকডাউনে জরুরী সেবামূলক প্রতিষ্ঠান ব্যতীত সকল প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম বন্ধ। এরমধ্যেও আবাসিক হোটেল খোলা রাখার পাশাপাশি অনৈতিক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
[৩] বুধবার উপশহরের স্থানীয়রা প্রতিবাদের সাথে অভিযোগ করে বলেন, গত প্রায় ৫ মাস পূর্বে হোটেলটি চালু হয়। মাস-খানেক পর থেকেই শুরু হয় হোটেলটিতে দেহ ব্যবসা। বিভিন্ন উঠতি বয়সী মেয়েদের হোটেলটিতে আনাগোনা দেখা যায়। এলাকায় বাজে পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে।
[৪] তারা বলেন, হোটেলটি রাজশাহীর উপশহরে ৩ নম্বর সেক্টরের মারকাজ মসজিদের পশ্চিমে অবস্থিত। এমনকি পুলিশ ফাঁড়ী থেকে আনুমানিক ৩০০ গজের মধ্যে এই হোটেলটির অবস্থান।
[৫] অভিযোগ উঠেছে, যুবক-যুবতীরা এই হোটেলে রুম ভাড়া নিয়ে দেদারসে ফুর্তি করছেন। আবার মোবাইল ফোনের মাধ্যমে অর্ডার নিয়ে হোটেলের বাইরেও সরবরাহ করা হচ্ছে যৌন কর্মীদের। তারা মোটরসাইকেলযোগে খদ্দেরদের ঠিকানায় পৌঁছে দিচ্ছেন যৌন কর্মী।
[৬] সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, যৌনকর্মী সরবরাহের কাজে ব্যবহৃত একাধিক মোটরসাইকেল হোটেলের সামনে রাখা রয়েছে। হোটেল থেকে বের হয়ে যৌনকর্মীরা বিভিন্ন মোটরসাইকেল যোগে চলে যাচ্ছে তাদের কাস্টমারদের দেয়া ঠিকানায়।
[৭] এ ব্যপারে জানতে আবাসিক হোটেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, হোটেলে আসেন সাক্ষাতে আলাপ করবো।
[৮] এ ব্যপারে উপ-শহর পুলিশ ফাঁড়ীর ইনচার্জ এসআই শাহীন জানান, উদ্বোধনের এক সপ্তাহ্ পরেই হোটেলটিতে অভিযান চালানো হয়েছিলো।
[৯] এরপর বোয়ালিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নিবারন চন্দ্র বর্মন স্যার হোটেলের পরিচালককে ডেকে অনৈতিক কর্মকাণ্ড না চালানোর বিষয়ে সর্তক করেছেন। সম্পাদনা: জেরিন আহেমদ
আপনার মতামত লিখুন :