কূটনৈতিক প্রতিবেদক: [২] ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাস এ তথ্য জানিয়ে বলেছে, মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরে অনুষ্ঠিত বৈঠকে সহযোগিতা জোরদারে সম্মত হন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টাসালমান এফ রহমান ও মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, জ্বালানি ও পরিবেশ বিষয়ক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা মার্শা বার্নিকাট।
[৩] বৈঠকে জনস্বাস্থ্যের পাশাপাশি বিশ্ব অর্থনীতিতে করোনার বিরূপ প্রভাব নিয়ে বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনা হয়। উভয় দেশের মধ্যে চলমান অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও ২০২০ সালের অংশীদারত্ব বৈঠকে চিহ্নিত সহযোগিতার ক্ষেত্রে অগ্রগতি নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন তারা।
[৪] কোভ্যাক্সের মাধ্যমে বাংলাদেশকে ৫৫ লাখেরও বেশি ডোজ টিকা সরবরাহ করায় যুক্তরাষ্ট্রকে ধন্যবাদ জানান সালমান এফ রহমান। তিনি টিকা ও অন্য ব্যবস্থাপনা সরঞ্জামাদির বৈশ্বিক উৎপাদন বৃদ্ধির ওপর জোর দেন।
[৫] এ ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের টিকা উৎপাদনকারী সংস্থাগুলোকে বাংলাদেশের দক্ষ ওষুধ উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলোর সঙ্গে অংশীদারত্ব প্রতিষ্ঠা করতে উৎসাহ প্রদানের জন্য মার্কিন সরকারের সহায়তা কামনা করেন।
[৬] মার্শা বার্নিকাট করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ সরকারের প্রচেষ্টার প্রশংসা করে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র পিপিইর পাশাপাশি করোনার টিকা ও থেরাপিউটিক্স উৎপাদন সম্প্রসারণের পরিকল্পনায় বাংলাদেশকে অগ্রাধিকার দেবে।
[৭] কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বাতিলের সাম্প্রতিক পদক্ষেপের জন্য বাংলাদেশের প্রশংসা করেন। চলতি বছরের শেষের দিকে পরবর্তী অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব বৈঠক আয়োজনে সম্মত হয়েছে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র।
[৮] বৈঠকে শ্রমিকের অধিকার ও সুরক্ষা, জ্বালানি, জলবায়ু পরিবর্তন ও কৃষিক্ষেত্রে সহযোগিতা, বাংলাদেশে মার্কিন বিনিয়োগ, প্রযুক্তি স্থানান্তর, ঢাকা থেকে নিউইয়র্কে বিমানের সরাসরি ফ্লাইট পুনঃস্থাপনসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।
আপনার মতামত লিখুন :