এম আর আমিন: [২] চট্টগ্রামে প্রবল বর্ষণে পাহাড়ধসের শঙ্কা, সতর্কতার মাইকিং করছে জেলা প্রশাসন। কয়েক দিন ধরে প্রবল বর্ষণে পাহাড় ধসের শঙ্কায় ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারীদের সরে যেতে নির্দেশনা দিয়েছে জেলা প্রশাসন। জেলা প্রশাসনের ৬ জন এসিল্যান্ডের নেতৃত্বে মাইকিংয়ের পাশাপাশি তাদের সরিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছেন। সেই সঙ্গে খোলা হয়েছে ৪ আশ্রয়কেন্দ্র। পাশাপাশি ২০টি ঝুঁকিপূর্ণ স্থাপনাও উচ্ছেদ করা হয়েছে।
[৩] চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, গত তিন দিন ধরে প্রবল বৃষ্টিপাত হওয়ায় নগরের বাটালিহিল, মতিঝর্ণা, আকবরশাহ, বায়েজিদ লিংক রোড ছিন্নমূল পাহাড়ি এলাকায় বসবাসরত মানুষকে ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড় থেকে সরিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে আনার জন্য চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের ৬ জন এসিল্যান্ড, জেলা প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তা ও বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবকরা কাজ করে যাচ্ছেন। ইতোমধ্যে ৯২টি পরিবারের প্রায় ৩১০ জন মানুষকে ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড় থেকে আশ্রয়কেন্দ্রে আনা হয়েছে।
[৪] চট্টগ্রামে ৪টি আশ্রয়কেন্দ্র হলো- আল হেরা মাদ্রাসা, রউফাবাদ রশিদিয়া মাদ্রাসা, ফিরোজ শাহ প্রাথমিক বিদ্যালয় ও লালখান বাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়।
[৫] জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান বলেন, গত মঙ্গলবার রাতে পাহাড়ে ঝুঁকি নিয়ে বসবাসকারী কিছু সংখ্যক লোকজনকে আমরা নিরাপদ স্থানে নিয়ে আসি। পরে পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে কথা বলে পুলিশের সহায়তায় আমরা তাদেরকে নিয়ে এসেছি। তাদের জন্য খাবারসহ সব সুযোগ সুবিধার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রে আনা পরিবারগুলোর মধ্যে খাদ্য সহায়তার পাশাপাশি প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। আজ দুপুরে ভুনাখিচুড়ি ও ডিম সরবরাহ করা হবে। রাতের খাবারের ব্যবস্থাও করা হচ্ছে। পাহাড়ে মাইকিং চলমান রয়েছে। পর্যাপ্ত খাদ্য মজুদ আছে। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসবাসরত মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে আনা হচ্ছে। সম্পাদনা: হ্যাপি
আপনার মতামত লিখুন :