মাসুদ আলম : [২] হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর আর্মড পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জিয়াউল হক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, বুধবার ভোরে বিমানবন্দর এলাকা থেকে ৮ হাজার ৯৫০ ইয়াবাসহ সৌদি আরবগামী যাত্রী সাদ্দামকে আটক করে বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ। ল্যাগেজের ভেতরে বিশেষ কায়দায় লুকানো ছিলো ইয়াবা গুলো । ২০০ থেকে ৩০০ টাকায় ইয়াবা গুলো কিনে সৌদিতে এক থেকে দেড় হাজার টাকায় বিক্রি করতেন তিনি।
[৩] তিনি বলেন, সাদ্দাম সালাম এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে করে সৌদি আরবের দাম্মাম শহরে যাওয়ার কথা ছিল। সকাল ৯টা ২০ মিনিটে তার ফ্লাইট ছিল। তবে সে ভোর ৬টার দিকে বিমানবন্দরে আসে। ২০২০ সালে সাদ্দাম ইয়াবা পাচারের সময় পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিল।
[৪] জিয়াউল হক আরও বলেন, সাদ্দামের বাড়ি কুমিল্লার কোটবাড়ি এলাকায়। এসব ইয়াবা কুমিল্লার এক চক্রের মাধ্যমে সংগ্রহ করেছিল। সেখানে ওই চক্রটি তাকে সৌদি আরবে যাওয়ার টিকিট বা ভিসা করে দিয়েছে। ইয়াবাগুলো নিয়ে সৌদি আরবের দাম্মামের এক প্রবাসীর কাছে হস্তান্তর করার কথা ছিল। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে ইয়াবা পাচার চক্রের সঙ্গে জড়িত বেশকিছু সদস্যের নাম পাওয়া গেছে।
[৫] সৌদি আরবে এসব ইয়াবার গ্রাহক কারা জানতে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে যারা ইয়াবাসেবী রয়েছেন এবং দেশটির কিছু নাগরিক বর্তমানে ইয়াবা সেবন করছেন। মাদকের কারবারিরা একটি নতুন ট্রেইন শুরু করেছে, অতিরিক্ত লোভের আশায় ইন্টারন্যাশনাল ফ্লাইটগুলোর মাধ্যমে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে তারা ইয়াবা পাচারের চেষ্টা করছে। তবে বিমানবন্দরের স্ক্যানিংয়ের মাধ্যমে তারা অবশ্যই ধরা পড়বে।
আপনার মতামত লিখুন :