শিরোনাম
◈ সয়াবিনের দাম বাড়ানোর সুযোগ নেই: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ উপজেলা নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত বিএনপির ◈ কেউ যেন নিরাপত্তাহীনতায় না থাকি, আইনের শাসনে জীবনযাপন করি: ড. ইউনূস ◈ মা, স্ত্রী ও দুই ছেলে নিয়ে ঢাকা ফিরছিলেন রফিক, পথে প্রাণ গেল সবার ◈ স্থায়ী জামিন না পাওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়েছি: ড. ইউনূসের আইনজীবী ◈ উপজেলার ভোটে এমপি-মন্ত্রীদের হস্তক্ষেপ না করতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ : ওবায়দুল কাদের  ◈ শ্রম আইন লঙ্ঘন: ড. ইউনূসসহ ৪ জনের জামিন ২৩ মে পর্যন্ত বৃদ্ধি ◈ ময়মনসিংহে দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ২, আহত ২৬ ◈ ফরিদপুরে বাস-পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত বেড়ে ১৩  ◈ ইরানের হামলার জবাব দেবে ইসরায়েল: সেনাপ্রধান

প্রকাশিত : ২৮ জুলাই, ২০২১, ১১:৪৭ দুপুর
আপডেট : ২৮ জুলাই, ২০২১, ১১:৪৭ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

পাহাড় ধসের ঝুঁকিতে উখিয়া ও টেকনাফে আশ্রয় নেওয়া হাজারও রোহিঙ্গা শরণার্থী

ডেস্ক নিউজ: পাহাড়ের ঢালে বাঁশ পুঁতে চার দিকে তোলা হয়েছে ঝুপড়ি ঘর। তার ওপরে থাকা পলিথিনের ছাউনি বৃষ্টি ঠেকাতে পারছে না। আবার অনেক রোহিঙ্গা পাহাড় কেটে করেছে বসতি। এই কাটা পাহাড় দৃশ্যমান না হওয়ার জন্য দেওয়া হয়েছে নানা রঙের পলিথিন। ঝুম বৃষ্টিতেও পাহাড়ে খাদে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বৃষ্টির পানি থেকে বাঁচতে কাজ করছে রোহিঙ্গারা।

পাহাড়ের ওপর বা নিচে গায়ে গায়ে লাগানো অসংখ্য ঝুপড়ি ঘর ভারি বৃষ্টিতে ভিজছে। ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ে ঝুপড়ি ঘরে আশ্রয় নিয়ে বর্ষা মৌসুম পার করছে হাজার হাজার রোহিঙ্গা। খবর সময় টিভি

একজন রোহিঙ্গা শরণার্থী বলেন, যেভাবে বৃষ্টি হচ্ছে তাতে আমাদের ভয় লাগছে কখন দুর্ঘটনা ঘটে।

অপর এক রোহিঙ্গা শরণার্থী বলেন, প্রচণ্ড বৃষ্টিতে পলিথিনের ঘরই টিকছে না। তারপর যদি পাহাড় ধসে তাহলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে।

বৃষ্টি হলেও পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসরত রোহিঙ্গাদের সরে গিয়ে আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য সচেতনতার কাজ করে ক্যাম্প কর্তৃপক্ষ ও ফায়ার সার্ভিস। কিন্তু অনেক রোহিঙ্গা তা শুনতেই চান না বলে জানালেন তারা।

কক্সবাজার ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ আবদুল্লাহ বলেন, আমরা তাদেরকে বারবার বলছি- ঝুঁকিপূর্ণ সময়। এখান থেকে সরে যান। কিন্তু তারা এখানেই থাকছেন।

আর অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার জানালেন, পর্যায়ক্রমে ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ে বসবাসরত রোহিঙ্গাদের সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।

অতিরিক্ত কমিশনার শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশন মো. সামছু-দ্দৌজা বলেন, এটা চলমান প্রক্রিয়া। আমরা ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলো থেকে তাদের সরিয়ে নিচ্ছি। আমাদের ৩৪টি ক্যাম্পেই স্বেচ্ছাসেবকের মাধ্যমে এই কাজ চলছে।

কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের ৩৪টি আশ্রয় শিবিরে ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিতে গিয়ে উজাড় করা হয়েছে ৮ হাজার একরের বেশি বনভূমি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়