প্রভাষ আমিন: এতোদিন জ্বর হলে মানুষ প্রথমেই করোনার কথা ভাবতো। কিন্তু এখন ডেঙ্গুর কথাও ভাবতে হবে। জ্বর হলে দুটি টেস্টই করতে হবে। তারপর ডাক্তারের পরামর্শ মেনে চিকিৎসা নিতে হবে। প্রয়োজনে হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে। তবে করোনা বলেন আর ডেঙ্গু- সুস্থতার মূল চাবিকাঠি কিন্তু আপনারই হাতে। সরকারের, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অনেক অব্যবস্থাপনা নিয়ে, দুর্নীতি নিয়ে অনেক কথা বলা যাবে। কিন্তু সেটা বলার জন্যও আগে সুস্থ থাকতে হবে। লকডাউন শিথিল থাকার সুবাদে আমরা সবাই ঈদ উদযাপন করার সুযোগ পেয়েছি। কিন্তু আসলেই কি সবাই ঈদ করতে পেরেছে? ঈদের দিনেও হাসপাতালে হাসপাতালে করোনা রোগীদের হাহাকার ছিলো। ঈদের দিনে ১৭৪ জন মারা গেছেন। তাই করোনা বা ডেঙ্গু ঈদ বা উৎসব চেনে না। সাবধান না হলে আমরা যে কেউ যখন তখন আক্রান্ত হতে পারি। করোনার সাবধানতাগুলো এতোদিনে আপনাদের সবার মুখস্থ হয়ে গেছে। সবসময় পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে, সবসময় মাস্ক ব্যবহার করতে হবে, কিছুক্ষণ পরপর হাত ধুতে হবে, জনসমাগম এড়িয়ে চলতে হবে, কোনো মানুষের তিন ফুটের মধ্যে যাওয়া যাবে না, অকারণে বাসার বাইরে যাওয়া যাবে না, গেলেও বাসায় ফিরে গোসল করতে হবে, বাইরের সব পোশাক ধুয়ে ফেলতে হবে, বাইরে থেকে আনা জিনিস স্যানিটাইজ ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ডেঙ্গুর সতর্কতাগুলো আপনাদের অজনা নয়। তবুও ভুলে একটু মনে করিয়ে দিচ্ছি। কোনোভাবেই যেম মশা আপনার নাগাল না পায়, তা নিশ্চিত করতে হবে। রাতে অবশ্যই মশারি খাটিয়ে ঘুমাবেন। চোখ-কান খোলা রাখুন, বাসার আশেপাশে যাতে এডিস মশা বংশবিস্তার করতে না পারে। আমরা সবাই জানি, এডিস মশা বংশবিস্তার করে পরিষ্কার পানিতে। তাই বাসার, বারান্দার, ছাদের টবে যেন পানি জমতে না পারে। রাস্তায় যেন আমরা ডাবের খোসা, পরিত্যক্ত টায়ার বা পানি জমার মতো কিছু ফেলে না রাখি। আর বাসার চারপাশ পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। কোরবানির পশুর বর্জ্যও ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব ঘটাতে পারে। সরকার মশা মারবে, টিকা আনবে, হাসপাতাল বানাবে। কিন্তু আমাদের নিজেদের সুরক্ষা নিজেকেই নিশ্চিত করতে হবে। করোনাভাইরাস যাতে ঢুকতে না পারে, সেজন্য মুখ-নাক ঢেকে রাখতে হবে। এডিস মশা যেন কামড়াতে না পারে, সে জন্য নিজেকে ঢেকে রাখতে হবে। জান বাঁচানো ফরজ। তাই সরকারের দিকে তাকিয়ে না থেকে নিজেকেই সাবধান থাকতে হবে। সাবধানের মার নেই। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :