শিরোনাম
◈ যুক্তরাষ্ট্র সরে এলে বিশ্বরাজনীতিতে নেতৃত্ব দেবে কে: বাইডেন ◈ মিয়ানমার সেনাসহ ২৮৮ জনকে ফেরত পাঠালো বিজিবি ◈ উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় বিএনপির ৬৪ নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ ◈ বর্ধিত ভাড়ায় ট্রেনের আগাম টিকিট বিক্রি শুরু ◈ বাড়ছে না শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটি ◈ মা হিসেবে পূর্ণ অভিভাবকত্ব পেয়ে দেশের ইতিহাসে নাম লেখালেন অভিনেত্রী বাঁধন ◈ আরও তিন মামলায় জামিন পেলেন মামুনুল হক ◈ সাজেকে ট্রাক খাদে পড়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৯ ◈ তাপপ্রবাহে উচ্চ স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে শিশুরা,  বাড়তি সতর্কতার পরামর্শ ইউনিসেফের ◈ মন্ত্রী ও এমপিদের নিকটাত্মীয়রা প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করলে সময়মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে: ওবায়দুল কাদের 

প্রকাশিত : ২৭ জুলাই, ২০২১, ০৭:৪০ বিকাল
আপডেট : ২৮ জুলাই, ২০২১, ১২:৪৬ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] দেশের সব কারাগারে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা ও বডি স্ক্যানারসহ মোবাইল জ্যামার ব্যবহার করা হবে: আইজি প্রিজন্স

সুজিৎ নন্দী: [২] কারা মহাপরিদর্শক (আইজি-প্রিজনস) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মোমিনুর রহমান মামুন বলেন, তদন্ত কমিটি ১৯টি সুপারিশ জমা দেয়। এই সুপারিশের কিছু সংযোজন বিয়োজন করে একটি সুনিদৃষ্ট নীতিমালা তৈরি করে এ সপ্তাহের মধ্যে বাস্তবায়নের কাজ শুরু হবে।

[৩] তিনি বলেন, জেলখানার নিরাপত্তা জোরদার করা হবে। পাশাপাশি কারাগার এখন সংশোধনাগারে পরিণত করা হচ্ছে। সরকার এরই মধ্যে বন্দীদের জন্য সুযোগ সুবিধা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

[৪] ডা. মোমিনুর রহমান মামুন বলেন, প্রতিটি কারাগার থেকে বৈধভাবে ফোনে কথা বলা যায়। তবে ১০ মিনিটের বেশি নয়। বিশেষ করে ল্যান্ড ফোন থেকে কয়েদীরা পরিবারের সঙ্গে কথা বলতে পারেন। অগ্রাধীকার পেয়ে থাকে স্ত্রী-পুত্র-কন্যা, বাবা-মা এবং আত্মীয় স্বজন। এছাড়া বাইরের কারোর সঙ্গে কথা বলতে গেলেও সেটি কথা বলার আগে অনুমতি নিতে হয়। ভিডিও কলে কোন কথা বলা যায় না।

[৫] তিনি বলেন, আমরা সবচেয়ে বেশি নজরদারী করছি, কেউ যেনো অবৈধভাবে মোবাইল ব্যবহার করতে না পারে, মাদক ব্যবহার বন্ধ এবং বাইরে থেকে কোনো অবৈধ জিনিস যেনো নিতে না পারে সে ব্যাপারে কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা জোরদার করছি।

[৬] আইজি-প্রিজনস বলেন, ‘কারা নিরাপত্তা আধুনিকায়ন প্রকল্প’ কাজ শুরু হয়েছে। আমাদের তিনটি বিভাগের ৩২টি কারাগারে প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে। আরো ৫টি বিভাগে ৩৬টি কারাগারে নতুন প্রকল্প নেয়া হচ্ছে। পাশাপাশি কারাগার সংস্কার, বর্ধিত করা এবং ধারণ ক্ষমতা বাড়ানোর কাজ চলমান আছে।

[৭] তিনি বলেন, দেশের বিভিন্ন কারাগারে কয়াদীদের ৩৯ প্রকারের ট্রেনিং দেয়া হচ্ছে। ক্ষুদ্র কুঠির শিল্প থেকে শুরু করে মসলিন শাড়ি, টাঙ্গাইল শাড়ি, জামদানিসহ বিভিন্ন ধরনের ট্রেনিং দেয়া হচ্ছে। কারামুক্তির পরে ট্রেনিং তাদের কাজে লাগবে।

[৮] তিনি আরও বলেন, কেউই আইনের উদ্ধে নয়, যে কোনো অনিয়ম কোনো কয়াদী করলে জেল কোড অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সম্প্রতি সময়ে যে ঘটনা ঘটেছে, কারাবিধি ও আইন অনুযায়ী যেসব ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ তদন্ত কমিটি করেছে, তা বাস্তবায়ন করা হবে।

[৯] ইতোপূর্বে কারাগারের কর্মকর্তা ও রক্ষী মাদক কারবারেও জড়িত ছিলো। তাদের বিরুদ্ধে ক্যান্টিনের খাবার ও দর্শনার্থী নিয়ে বাণিজ্য, বন্দীদের মোবাইল ও ল্যাপটপ ব্যবহার করতে দেয়াসহ নানা অনিয়মে জড়িত থাকার অভিযোগ দীর্ঘদিনের। এ ব্যাপারে তিনি বলেন, এখন সেগুলো আর নেই। কারাগারে অনেক পরিবর্তন এসেছে। কারাগার এখন সংশোধনাগারে পরিণত করার কাজ চলছে। সম্পাদনা : মিনহাজুল আবেদীন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়