লিহান লিমা: [২] মে মাসে হামাসের সঙ্গে ১১ দিনের সংঘর্ষে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী ‘স্পষ্টতই যুদ্ধাপরাধ’ করেছে বলে অভিযোগ করেছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ। ইসরায়েলের তিনটি বিমানহামলায় ৬২জন বেসামরিক ফিলিস্তিনি নিহতের ঘটনা তদন্তে করে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছায় সংস্থাটি। তারা বলে, ‘এসব হামলায় ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর লক্ষ্যবস্তু যে হামাস ছিলো তার কোনো প্রমাণ মেলে নি।’এপি
[৩] প্রতিবেদনে আরো বলা হয় হয়, ইসরায়েলের জনবহুল শহরে ৪ হাজার রকেট ও মর্টার নিক্ষেপ করে যুদ্ধপরাধ করেছে হামাস। এই ধরনের হামলা, ‘বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে নির্বিচারে হামলায় নিষেধাজ্ঞার পরিপন্থী।’
[৪] তবে এই প্রতিবেদনে বিশেষভাবে সংঘর্ষে ইসরায়েলের ভূমিকার ওপর দৃষ্টিপাত করা হয়। সংস্থাটি জানায়, হামাস ও ফিলিস্তিনের অন্যান্য সংস্থার হামলা নিয়ে ভিন্ন আরেকটি প্রতিবেদন তৈরি করা হবে।
[৫] সংস্থাটির সংকট এবং সংঘর্ষ বিষয়ক নির্বাহী গেরি সিম্পসন বলেন, ‘মে মাসে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী গাজায় যে হামলা চালায় তাতে কয়েক’শ পরিবারের বাড়ি-ঘর ধ্বংস হয়, অনেক প্রাণহানি হয় অথচ পাশ্ববর্তী স্থানেও কোনো সশস্ত্র গোষ্ঠির সদস্যদের ঘাঁটিকে লক্ষ্যবস্তু করে হামলা করা হয়েছিলো এমন প্রমাণ মেলে নি। আন্তর্জাতিক আদালতে এই হামলায় যে বিচার চলছে তাতে অসহযোগিতার পূর্ণ চিত্র ইসরায়েলের আচরণে স্পষ্ট।’
[৬] গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, গত ১০ মে শুরু হওয়া হামাস-ইসরায়েল সংঘর্ষে ২৫৪জন নিহত হন, এর মধ্যে রয়েছে কমপক্ষে ৬৭ শিশু ও ৩৯নারী। হামাস জানায় তাদের ৮০জন সদস্য নিহত হয়েছেন। ইসরায়েলের এক সৈন্য, দুই শিশু ও ১২জন বেসামরিক নিহত হন।
আপনার মতামত লিখুন :