শিরোনাম

প্রকাশিত : ২৭ জুলাই, ২০২১, ০৪:২৪ দুপুর
আপডেট : ২৭ জুলাই, ২০২১, ০৪:২৪ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ভারতের বিমান খাতে লোকসান ১৩ হাজার ৫৯০ কোটি রুপি

রাশিদ রিয়াজ : ভারতের বিমান বন্দরগুলোতে যাত্রী হ্রাস পেয়েছে ৬৩ শতাংশ। কোভিড মহামারীর কারণেই বিশাল পরিমানে বিমান যাত্রী হ্রাস পেয়েছে দেশটিতে। ভারতের অভ্যন্তরীণ বিমান চলাচলের ক্ষেত্রেও যাত্রী হ্রাস পেয়েছে আরো বেশি অর্থাৎ ৬১.৮ শতাংশ। আন্তর্জাতিক যাত্রী হ্রাস পেয়েছে ৮৪.৮ শতাংশ। যা গত ৩০ বছরে সর্বনিম্ন। অথচ গত বছর এ খাতে ভারতে লাভ হয়েছিল ৫ হাজার ১৬০ কোটি রুপি। ২০০৮ সালে ভারতে বিমানে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক রুটে যাত্রী চলাচল করেছিল সাড়ে ১১ কোটি। দি প্রিন্ট

বিমান যাত্রী হ্রাস পাওয়ায় অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক রুটে লোকসান দিতে হয়েছে ৮ হাজার ৩১০ কোটি রুপি। এয়ারপোর্ট অথোরিটি অব ইন্ডিয়া ও পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ উভয় মিলে এ খাতের লোকসান মোট দাঁড়িয়েছে ১৩ হাজার ৫৯০ কোটি রুপি। এয়ারপোর্টস অথোরিটি অব ইন্ডিয়া বলছে তাদের বিমান যাত্রী হ্রাস পেয়েছে ৬৯ এবং পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ কর্তৃপক্ষ বলছে তাদের হ্রাস পেয়েছে ৩১ শতাংশ। ভারতের সিভিল এভিয়েশন প্রতিমন্ত্রী ভি. কে. সিং এসব তথ্য পার্লামেন্টে উপস্থাপন করে বলেন বিমান বন্দরগুলো অব্যাহতভাবে লোকসান দিচ্ছে। ভাতের ১৩৬টি বিমান বন্দরের মধ্যে ১০৭টি বিমান বন্দরই লোকসানে পড়েছে। এসব বিমান বন্দরগুলোর ৯১টি লোকসান দিয়েছে ১৩৬৮.৮২ কোটি রুপি। এর আগে ২০১৯ সালে এ লোকসানের পরিমান ছিল ১৬৬৮.৬৯ কোটি রুপি।

এখনো ভারত থেকে অন্যদেশে যেতে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বাতিল রয়েছে। বিশেষ ব্যবস্থায় আফগানিস্তান, বাহরাইন, বাংলাদেশি, ভুটান, কানাডা, ইথিওপিয়া, ফ্রান্স, জার্মানি, ইরাক, জাপান, কেনিয়া, কুয়েত, মালদ্বীপ, নেপাল, নেদারল্যান্ডস, নাইজেরিয়া, ওমান, কাতার, রাশিয়া, রুয়ান্ডা, সিসিলি, শ্রীলঙ্কা, তাঞ্জানিয়া, ইউক্রেন, আমিরাত, ব্রিটেন, যুক্তরাষ্ট্র ও উজবেকিস্তানের সঙ্গে ভারতের বিমান চলাচল অব্যাহত রয়েছে। তবে বর্তমানে ভারতের যে পরিমান বিমান যাত্রী চলাচল করার সুযোগ পাচ্ছে দেশটির বেশ কয়েকটি রাজ্য সরকার ঘন ঘন কোভিড স্বাস্থ্যবিধি ও নিয়ন্ত্রণ পরিবর্তন না করলে এধরনের যাত্রী সংখ্যা আরো ৭ থেকে ১০ মিলিয়ন বেশি হত। মহারাষ্ট্রে শুধু মুম্বাই বিমান বন্দরে যাত্রী হ্রাস পেয়েছে ৪৫ লাখ অর্থাৎ ৭৫.৯ শতাংশ। এ বিমান বন্দরের লোকসান হয়েছে ৩১৭.৪১ কোটি রুপি। এরপরেই চেন্নাই বিমানবন্দরে যাত্রী কমেছে ৭৫.৩ শতাংশ। দিল্লি বিমান বন্দরে হ্রাস পেয়েছে ৬৬.৪ শতাংশ ও লোকসান দিয়েছে ৩১৭.৪১ কোটি টাকা। বেঙ্গালুরু বিমানবন্দরে যাত্রী কমেছে ৬৬.৩ শতাংশ। হায়দ্রাবাদে ৬৩.৪ ও কোলকাতা বিমান বন্দরে যাত্রী কমেছে ৬৪.৯ শতাংশ। কোলকাতা বিমান বন্দর লোকসান গুনেছে ৩১.০৪ কোটি রুপি। তবে একমাত্র পুনে বিমান বন্দর লাভ করেছে ১৬.০৯ কোটি রুপি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়