জেরিন আহমেদ: [২] ১৭ বছর বয়সী ওই কিশোরীর অপরাধ- সে জিন্স পরেছিল, আধুনিকতায় বিশ্বাসী ছিল। আর তাই দাদা ও চাচার নির্মম পিটুনিতে প্রাণ দিতে হলো নেহাকে । এমনকি হত্যার পর গ্রামের পাশে সেতু থেকে নেহার মরদেহটি নদীতে ফেলে দেয়া হয়। পরে বাড়ি এসে প্রচার করে নেহা নদীতে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। পরে নদীতে ভাসমান এ মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
[৩] মর্মান্তিক ও অমানবিক এই ঘটনাটি ঘটেছে গত সপ্তাহে উত্তরপ্রদেশের দেউরিয়া জেলার সাবরেজি খার্গ গ্রামে । ভারতের উত্তর প্রদেশে। খবর বিবিসি
[৪] এ ঘটনার পরই দেশটিতে ব্যাপক সমালোচনা হচ্ছে। বর্বরোচিত এ ঘটনায় ভারতজুড়ে নিন্দার ঝড় বইছে।
[৫]বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে বলা হচ্ছে , এ ঘটনাই প্রমাণ করে ভারতে নারী ও শিশুরা নিজ পরিবারে কতটা ঝুঁকিতে আছে।
[৬] নিহত কিশোরীর মা শকুনতলা দেবী পাশান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, সেদিন নেহা সারা দিন উপবাস ছিল। সন্ধ্যায় ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যোগ দিতে জিন্স ও টপ পরেছিল। তার দাদা তখন এ পোশাক পরতে বারণ করেছিল। কথা না শোনায় নেহাকে বেধড়ক পিটিয়ে অচেতন অবস্থায় ফেলে রাখে। পরে তারা একটি অটোরিকশায় করে নেহাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
[৭] এ ঘটনার তদন্ত করে নেহার দাদা ও চাচাদের গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আপনার মতামত লিখুন :