বিপ্লব বিশ্বাস:[২] থানা পুলিশের নাকের ডগায় চলছে মাদক ব্যবসা,সেবন জুয়ার আসরম। দিনের পর দিন থানার তালিকাভুক্ত এ সব মাদক ব্যবসায়ীরা বিপদগামী করে তুলছে যুবক-যুবতীদের। স্থানীয়রা জানান, সন্ধ্যা নামতেই পিরোজপুরের কাউখালী থানা এলাকার আশপাশের বেশ কয়েকটি ইউনিয়নে ছোট ছোট কুড়ে ঘরে তৈরি করে সেখানে ইয়াবা, ফেনসিডিল, গাঁজা, হিরোইন বিক্রির পাশাপাশি চলে জুয়ার আসর মাদক সেবন।
[৩] আইনশৃঙ্খলাবাহিনী মাঝে মধ্যে অভিযান চালালে দুই এক জন চুনোপুটি ধরা পরলেও অধিকাংশরাই থেকে যায় ধরাছোঁয়ার বাইরে। জানা যায়, এদের নেপথ্যে যারা শেল্টার ও দেখভাল করেন তারমধ্যে রয়েছে, একজন উপজেলা জন-প্রতিনিধি, এক জন ইট ভাটার মালিক এবং একজন সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও একজন সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রনেতা।
[৪]পুলিশের একটি সূত্র জানায়, কাউখালী থানায় আট মাদক ব্যবসায়ী দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা করে আসছে। এরা হলো, সাজেদুল হক মৃধা, সাখাওয়াত হোসেন তুহিন, শফিকুল ইসলাম উজ্জ্বল,জসিমউদ্দিন মোর্শেদ, সোহেল আহমেদ মুননা, হুমায়ুন কবির, মনোয়ার হোসেন দুলাল ও নাইম খান। এদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে থানায় মাদক সম্পর্কিত একাধিক মামলা। এদের নেটওয়ার্ক এবং এতোটা ক্ষমতাধর মাদকসহ আটকের দুদিনের মাথাই জামিনে ছাড়া পেয়ে যান।
[৫]এই ব্যবসায়ীরা তিনটি রুট থেকে এরা মাদক সংগ্রহ করে। তবে এখোন নদী পথেই মাদকের চালান বেশী আসে। গাবখান নদীর মোহনায় প্রতি রাতেই ইয়াবা, ফেনসিডিল গাজার চালান নৌযান থেকে নামানো হয় বলে জানা যায়। থানা পুলিশকে মাশোহারা দিয়েই এহোন কাজ করেন বলে বিস্তার অভিযোগ। এমনো অভিযোগ রয়েছে যে পুলিশের একজন এসআই এবং দুই এএসআইয়ের সাথে ওই মাদক কারবারীদের সাথে যোগ সাজস রয়েছে। তারা বিভিন্ন সময় এই মাদক কারবারীদের থেকে মাসোয়ারা নিয়ে মাদক ব্যবসা সচল রাখে।
[৬]এ ব্যপারে পুলিশ সুপার সাঈদুর রহমান জানান, পিরোজপুর জেলায় যোগ দিলাম তিন-চারদিন। ইতোমধ্যে মাদক নিয়ে কঠোর বার্তা দেয়া হয়েছে। আপরাধী যেই হোক কোন ছাড় নেই। অভিযান আরো জোরদার করা হবে। আর পুলিশের কেউ জড়িত থাকার প্রমান মিললে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আপনার মতামত লিখুন :