শিরোনাম
◈ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি: কী পাচ্ছে বাংলাদেশ, কী হারাতে পারে? ◈ রাতেই সোহরাওয়ার্দীতে জড়ো হচ্ছেন জামায়াতের নেতাকর্মীরা (ভিডিও) ◈ চাপাতি হাতে ব্যাগ ছিনিয়ে পুলিশের সামনেই হেঁটে গেলো ছিনতাইকারী, ভিডিও ভাইরাল ◈ রাশিয়ার সঙ্গে সম্পৃক্ত ভারতের বৃহত্তম তেল শোধনাগার নায়ারা রিফাইনারির ওপর ইইউর নিষেধাজ্ঞা ◈ রাতের আকাশে ভেসে উঠলো ‘নাটক কম করো পিও’ (ভিডিও) ◈ জটিল ভয়ানক যে রোগে আক্রান্ত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প! ◈ কুড়িগ্রামে চাঁদা দাবি করা জামায়াতের সেই নেতা সাময়িক বহিষ্কার ◈ বড়াইগ্রামে এক বিষয়ে পরীক্ষা দিয়ে দুই বিষয়ে দুই পরীক্ষার্থী ফেল! ◈ টাঙ্গাইলে পুলিশ হেফাজতে বিএনপি নেতার রহস্যজনক মৃত্যু ◈ এনসিপি’র মার্চ টু গোপালগঞ্জ তলিয়ে দেখা দরকার: শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি

প্রকাশিত : ২৬ জুলাই, ২০২১, ০৪:৪১ সকাল
আপডেট : ২৬ জুলাই, ২০২১, ০৮:৩৮ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

উত্তরাধিকার সূত্রে পাওনা সম্পদে অনিয়মের কারণে অনেকেই হবে জাহান্নামের বাসিন্দা

আখিরুজ্জামান সোহান: উত্তরাধিকারে পাওয়া সম্পদ বণ্টণে আমাদের করনীয় এবং অবশ্য পালনীয় বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করেছেন বিশিষ্ট ইসলামি চিন্তাবিদ হযরত মাওলানা মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল আমিন।

আমাদের সময়.কম’র  পাঠকদের জন্য ইসলামি জীবনব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ এই বিষয়টি সম্পর্কে আলোকপাত করা হলো:

۞۞১.ফরায়েযের জ্ঞানের আবশ্যকতাঃ মহান আল্লাহ এ পৃথিবীতে মানব জাতিকে সৃষ্টি করে জীবন পরিচালনা ও আখিরাতের জবাবদিহিতা সুন্দর করার জন্য দিয়েছেন তার নাযিল করা ঐশীগ্রন্হ কোরআন। যার মধ্যে রয়েছে সকল কিছুর ফায়সালা।

মহান আল্লাহর বানীঃ ربنا الذی اعطي كل شيء خلقه ثم هدی
আল্লাহ সকল কিছু সৃষ্টি করে তার পথ চলার ব্যবস্হা করেছেন।

পারিবারিক জীবনে সম্পদ বন্টন একটি গুরুত্বপূর্ন বিষয়।যার মাধ্যমে অধিকার নিশ্চিৎ সম্ভব।এ বিষয়ে ইসলাম দিয়েছে পরিপূর্ন ফায়সালা। যা থেকে কেউ মাহরুম হবার সুযোগই নেই। আর এ বিষয়ে সকল মুসলিমের জানা কর্তব্য।অনেকে বলেন, জ্ঞান তিন প্রকার ক,কোরানের জ্ঞান খ, হাদিসের জ্ঞান ৩. মিরাস এর জ্ঞান।
রাসুল (সঃ)এর বানীঃ
تعلموا الفراءض فانها نصف العلم،،،
তোমরা ফারায়েযের (অংশবন্টন)জ্ঞান অর্জন কর, কারন তা হলো সকল জ্ঞানের অর্ধেক। (হাদিস)

۞۞২. নিকটতম আত্নীয় কারাঃ
نصيب مما ترك الوالدان و الاقربون
অর্থাৎ, “মা-বাপ ও নিকটতম আত্মীয়-স্বজনরা যে ধন-সম্পত্তি রেখে গেছে তাতে পুরুষদের অংশ রয়েছে। আর মেয়েদেরও অংশ রয়েছে সেই ধন-সম্পত্তিতে, যা মা-বাপ ও নিকটতম আত্মীয়-স্বজনরা রেখে গেছে।” (নিসা ৭)
এখানেই শেষ নয়; ব্যাখ্যার মাঝখানেই কুরআন পরিস্কার ভাষায় জানিয়ে দিচ্ছেঃ
لا تدرون ايهم اقرب لكم نفعا فريضة من الله ان الله كان عليما حكيما
অর্থাৎ, “তোমরা জানো না তাদের কে কে উপকারের দিক দিয়ে তোমাদের বেশী নিকটবর্তী। এসব অংশ আল্লাহ নির্ধারণ করে দিয়েছেন। আর আল্লাহ অবশ্যই সকল সত্য জানেন এবং সকল কল্যানময় ব্যবস্থা সম্পর্কে অবগত আছেন।” (নিসা-১১)

আত্নীয়ের স্তরঃ
ছেলে-মেয়ে, নাতি-নাতনি = প্রথম স্তর
বাবা-দাদা = দ্বিতীয় স্তর
ভাই-বোন = তৃতীয় স্তর
চাচা-ফুফু, চাচাতো ভাই = চতুর্থ স্তর

۞۞৩.সমস্ত আমল বিফল যদি বন্টন ঠিক না থাকেঃ
تِلْكَ حُدُودُ اللَّهِ وَمَنْ يُطِعِ اللَّهَ وَرَسُولَهُ يُدْخِلْهُ جَنَّاتٍ تَجْرِي مِنْ تَحْتِهَا الْأَنْهَارُ خَالِدِينَ فِيهَا وَذَلِكَ الْفَوْزُ الْعَظِيمُ * وَمَنْ يَعْصِ اللَّهَ وَرَسُولَهُ وَيَتَعَدَّ حُدُودَهُ يُدْخِلْهُ نَارًا خَالِدًا فِيهَا وَلَهُ عَذَابٌ مُهِينٌ
অর্থ : এইসব আল্লাহর নির্ধারিত সীমা। যে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের অনুসরন করবে আল্লাহ তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন, যার তলদেশ দিয়ে নহর প্রবাহিত। তারা সেখানে স্থায়ী হবে এবং এটা মহা সাফল্য। আর যে আল্লাহ ও তার রাসূলের অবাধ্য হবে এবং নির্ধারিত সীমাকে( মিরাস) লঙ্ঘন করবে তাকে দোযখে নিক্ষেপ করবেন। সেখানে সে স্থায়ী হবে এবং সেখানে তার জন্য রয়েছে লাঞ্ছনাকর শাস্তি। সূরা নিসা-১৩-১৪

* রাসুল (সঃ)বলেন, একজন পুরুষ বা স্ত্রীলোক ষাট বছর পর্যন্ত ইবাদতে লেগে থেকেও মৃত্যুর সময় অসিয়তের ব্যাপারে কষ্ট ও ক্ষতিকর কাজ যদি করে থাকে, এর জন্য তার জাহান্নাম ওয়াজিব হয়ে যাবে।
তিরমিযি,ইবনে মাযাহ

۞۞৪.(ক.)নাতি কেন দাদার সরাসরি সম্পত্তির ওয়ারিস নয়ঃ
(খ)মৃত ছেলে বা মেয়ের সন্তানকে, দাদা নানার সম্পদ হতে কি আসলেই মাহরুম করা হয়েছে?
**নাতির সম্পদে দাদার কোনো অংশ নেই।এটি যেমন ঠিক।তেমনি দাদার সম্পদে বাবার আগের মৃত্যুতে নাতির কোনো অংশ নেই এটিও ঠিক।
ولا يرث ولد الابن مع الابن
অর্থ : ছেলে থাকাবস্থায় (মৃত) ছেলের সন্তানাদি কোন মীরাস পাবে না। (সহীহ বুখারী ২/৯৯৭)
তেমনি ভাবে,যেহেতু পিতা মারা গেছে দাদি জীবিত আছে, এখন দাদি মারা গেলে পিতা যে পরিমান সম্পদ পেত,আপনি সেই পরিমান সম্পদ পাবেননা।
কারন আপনার চাচা জীবিত আছে।
**চাচা ও ফুফু যদি দাদির মৃত্যুর পর আপনাকে সম্পদ দিতে রাজি না হয় তবে আপনি আইনের আশ্রয় নিলে তা জায়েয হবেনা।
والقربى من اى جهة كانت تحجب البعدى من اى جهة كانت (السراجى فى الميراث-
নিকটস্থ আত্মীয় থাকা অবস্থায় দূরবর্তী আত্মীয় কিছু পায় না।তারা মাহরুম হয়।
**কিন্তু ইসলাম এখানে ঠকায়নি। কারন সূরা নিসায় বন্টনের আগে এতিমকে খেয়াল রাখা ও তার অংশ বুঝে দিতে বলা হয়েছে। প্রশ্ন হলো নাতি কেন পাবেনা? অবশ্যই পাবে যা দাদা বা নানাকে খেয়াল করতে হবে। নাতি সরাসরি সম্পত্তির ওয়ারিস না হবার কারনে ইহসান করে সম্পদ হতে সর্বোচ্চ এক তৃতীয়াংশ দান বা অসীয়ত করতে পারবেন দাদা বা নানা। এখানে বুঝা গেল শুধু দান নয়, তার দিকে সার্বিক খেয়াল রাখার পন্হা শরীয়াত রেখেছে।

۞۞৫.(ক)জীবিত বাবার সম্পদে সন্তানের কতটুকু অধিকারঃ
(খ)সন্তানের সম্পদে পিতা মাতার কতটুকু অধিকারঃ
***পিতা মাতাকে সম্পদ লিখে দেয়া নয়,বরং তাদের প্রতি বিনয়ী, খেদমতের কথা বলা হয়েছে। যা চুড়ান্ত ফরয।।বাবা এককভাবে কোনো সন্তানকে সম্পদ জীবদ্দশায় দিতে পারবেননা, তেমনি সন্তান তার অর্জিত সম্পদ হতে তার বাবা মাকে লিখে দিতে পারবেনা। কারন" مما ترك"এ আয়াতের কার্যকারিতা থাকেনা।কারন সম্পদের সুষ্ট বন্টন একমাত্র মৃত্যুর পরই হয়। মৃত্যূর পূর্বে অংশ বন্টনই ধ্বংসের কারন হয়,কমবেশিতে রুপ নেয়।
কারন বাবা মার মত, মৃত সন্তানের সম্পদেও তাদের অংশ রয়েছে।
ولابويه لكل واحد منهما السدس مما ترك ان كان له ولد

মৃত ব্যক্তির সন্তান থাকলে মৃত ব্যাক্তির মা বাব ৬ ভাগের এক ভাগ সম্পদ পাবে।
তবে সম্পদের মালিক, মৌলিক প্রয়োজনে যেমন অন্ন, বস্ত্র, চিকিৎসা, বাসস্হান,শিক্ষায় খরচ করতে পারেন। এক সন্তানের অর্জিত সম্পদ বাবা মা নিজের নামে করে নিয়ে, সব সন্তানকে তার ওয়ারিস করে দেয়া সম্পূর্ন অবৈধ।

***অনেক বাবা আছেন শুধু এক সন্তান হতে মা বাবার প্রয়োজনীয় চাহিদা পূরনের পরেও চাপ প্রয়োগ করে এক সন্তানের একক উপার্জিত টাকা নিয়ে বাবা নিজের জায়গায় বাড়ি, নিজের জায়গায় দোকান, নিজের সম্পদ রক্ষা করার মানসে নিজ একাউন্টে টাকা জমা রেখে অন্য সব বাকী ছেলে মেয়েদের সম্পত্তির পরিকল্পিত ওয়ারিস বানিয়ে গেলে অবশ্যই বাবাকে বড় গুনাহগার হতে হবে। কারন তিনি শুধু তার প্রয়োজনীয় চাহিদা পূরনের জন্য নিতে পারেন কিন্তু অন্য সন্তানদের ওয়ারিস বানানোর জন্য নয়।

কিছু বাবা আছেন, ছেলেদের সবার আয়- ইনকাম এক জায়গায় নিজের নামে করে, সবাই সমান করে পাবে এ কথা বুঝিয়ে দেন। অথচ মৃত্যুর পর সম্পদ বন্টনে সন্তানদের সম্পত্তি বাহিরেও যেতে পারে।তাছাড়া সব সন্তানের আয়/রোযগার কখনই এক সমান হয়না। যা যুলুমের একটি নিকৃষ্ট পন্হা।
এমন বহু প্রবাসী জীবনের সবটুকু বিলিয়ে বাবা মার চাপে নিজের বৈধ অংশটুকু হারিয়ে ফেলে। যা স্পষ্টত যুলুম।জাহান্নামের পথ।

۞۞৬.সরাসরি ওয়ারিসকে সম্পত্তির ওয়াসিয়ত করা কি জায়েজ?
**বিশুদ্ধ সনদে হাদিসে, রাসুল (স) বলেন, আল্লাহ প্রত্যেক হকদারের হক পৌছিয়ে দিয়েছেন।সুতরাং এখন উত্তরাধিকারিদের জন্য কোনো ওসীয়ত নেই।
ইমাম মালিক,ইবনে হাম্বল,শাফেয়ি,আবু হানীফা,ইমাম বুখারি,তাউস, আতা,হাসান বসরি ( রহ) প্রমুখ উক্ত মত দিয়েছেন। ইমাম শাফেয়ি (রঃ) শেষে চুক্তি কথা উল্লেখ করেছেন।তবে সবার মত হলো অসিয়াত চলবেনা। (ইবনে কাছীর)
কোনো ধর্মেই দারিদ্র্যের ভিত্তিতে উত্তরাধিকার বণ্টনের বিধান নেই। যদি তা-ই হতো, তাহলে নির্দেশ হতো যে কেউ মারা গেলে তার স্বজনদের মধ্যে যে ব্যক্তি সবচেয়ে দরিদ্র, অভাবী ও প্রয়োজনগ্রস্ত সে মিরাস পাবে। তদ্রূপ একই বাবার দুই সন্তানের মধ্যে যদি একজন অত্যধিক দরিদ্র ও অন্যজন ধনী, সে ক্ষেত্রে কি এ কথা কেউ মেনে নেবে যে এখানে দরিদ্র ছেলেকে বাবার সম্পদ থেকে সব সম্পদ দিয়ে দেওয়া হবে। বাবার সব সন্তান এক রকম চাইলেও হবেনা। সে ক্ষেত্রে ছল চাতুরির আশ্রয় কোনো বাবা নিতে পারবেন না। আর স্বজনদের মধ্যে দরিদ্র কেউ না থাকলে পাড়া-প্রতিবেশীর মধ্যে যে বেশি অভাবগ্রস্ত তাকে দেবে। বরং এটি হবে ওয়ারিশদের ওপর স্পষ্ট জুলুম।

۞۞৭.(ক)বাবার টাকায় বিবাহের ব্যবস্হা না নিজ টাকায় উত্তমঃ
(খ)স্ত্রি ঘরে আনতে গিয়ে বাবার সম্পদ বিক্রি করে বিয়ে জায়েজ কি?
গ্রামের অধিকাংশ পরিবারে বাবার সম্পদে পূর্ননির্ভরতা নিয়ে বাবার জীবদ্দশায় পৈত্রিক সম্পত্তি বিক্রি করে বিয়ে পর্যন্ত করে অথচ নিজ যোগ্যতায় অর্থ যোগান সন্তান কে দেয়া উচিৎ ছিল,কারন বাবার সম্পত্তির ওয়ারিস হবে সন্তান মৃত্যুর পর। নামাজ যখন ফরয তখন হতে পুরুষের প্রয়োজনীয় চাহিদায় বাবাকে নয় পুরুষকেই যোগাড় শুরু করা কর্তব্য। বিয়ের কথা আল্লাহ কুরানে সমর্থ না থাকলে রোযার কথা বলেছেন
সন্তানকে বাবা এগিয়ে না দিলে কেমনে সে সমর্থবান হবে? তাহলে বিত্তশালি কি শুধু ধনী হতেই হয় তা কিন্তু নয়, গরিব হতেও অনেক ধনীর উপস্হিতি।আজ আত্ননির্ভরশীলতার অভাবেই আজ এ দূরাবস্হা।দাদার অংশে নাতির অংশ নেই, একথা আসতনা,যদি বালেগের যথোপযুক্ত কর্মস্পৃহা থাকত। কর্মস্পৃহা মানুষকে খারাপ কাজ থেকে রক্ষা করে।জীবদ্দশায় বাবার সম্পত্তিতে বাবার একক মালিকানা নিশ্চিৎ এবং এ ক্ষেত্রে যেমন সন্তানদের হস্তক্ষেপ করা যাবেনা, তেমনি সন্তানের একক সম্পদে বাবাও তার জীবিকা নির্বাহের জন্য প্রয়োজনীয় চাহিদা পূরনের বাহিরে কোনো সম্পদে হস্তক্ষেপ করতে পারবেন না, যা পুরোপুরি অবৈধ।

۞۞৮.মস্তিস্ক বিকৃত, পরমুখোপেক্ষী সন্তানের জন্য বাবার কি করনীয়ঃ
**অসিয়তের ব্যাপারে বুখারি /মুসলিমে এসেছে,, অসিয়ত আল্লাহর পথে হবে সর্বোচ্চ এক তৃতীয়াংশ। ওয়ারিস সম্পদশালি হোক বা না হউক।।কারন তুমি ওয়ারিসকে অন্যের দ্বারস্হ না করে সম্পদ শালী করে রেখে গেলে হবে উত্তম।
কোনো সন্তান যদি মস্তিস্ক বিকৃত, পংগু, অচল, মানসিক প্রতিবন্ধী হয় সে ক্ষেত্রে, বাকি সব ওয়ারিস কে ডেকে নিয়ে সবার পরামর্শে যদি ইতিবাচক হয়, তা সমাধান করতে পারবেন বাবা।

*৯. মেয়ে বা বোনকে বঞ্চিত করাঃ বিভিন্ন বাহানা তুলে অনেক বাবা মেয়েদের, অনেক ভাই, বোনদের সম্পদ হতে বঞ্চিত করে।
للذكر مثل حظ الانثيين،،،(নিসা)
নারি পুরুষের পাবে অর্ধেক।এর মানে নারিকে ঠকানো নয়,

(ক)বরং একজন নারি প্রথমে বাবা,না থাকলে ভাই,না থাকলে চাচা/মামা, না থাকলে স্বামী,না থাকলে ছেলে,না থাকলে এমন নিকটতম কোনো মুহরিম পুরুষ এমন যেকোনো একজনের দায়িত্বে আজীবন থাকবে।তার সার্বিক দেখার দায়িত্ব পুরুষের। কিন্তু পুরুষ তা নয়।পুরুষ সম্পূর্ন নিজের উপর নির্ভরশীল।
(খ)তার সন্তানদের সব ভোরন পোষনও নারির দায়িত্বে নয়,তা সন্তানের বাবার যা পালন করা ফরয।
(গ)বিয়ের সময় এককালীন মোহরানা,যা মালিকানা একক নারি।
(ঘ)বিয়ের সংগে সংগে স্ত্রীর সকল ভোরন পোষন স্বামির জন্য ফরয। শশুর পক্ষকে চাপ দিয়ে স্ত্রীর খরচ নেয়া এক নিকৃষ্ট,নির্লজ্জতা, গর্হিত কাজ।

এখন বাবার সম্পদে পুরুষের অর্ধেক একজন নারি পাবে এজন্য যে, তার (নারি) সম্পদ প্রাপ্তির খাত পুরুষের চেয়ে অনেক বেশী। অথচ তার (নারির) সারা জীবন কোনো খরচ নেই।এটিই হলো নারির সম্পদের অধিকার। কিন্তু পরিতাপের বিষয়,সমাজের অনেকেই বোনকে ভাই, মেয়েকে বাবা চরমভাবে সম্পদ হতে মাহরুম করে থাকেন। মৃত্যুর পূর্বেই কাউকে বেশি লিখে দেয়া। অথবা পিতার মৃত্যুর পর বোনদের সাথে ভাইদের হুমকি-ধামকি আচরন।অথবা জমি প্রদানে গড়িমসি করে নিজ নামে করে নেয়ার অবৈধ ফিকির এমন অনেক ভাই সমাজে আছেন।যা জাহান্নামের পথ।জমি নির্বাচনে নিম্নমানের জমি বোনদের জন্য বরাদ্দ করা।জমি নিলে বোনদেরকে সম্পর্ক নষ্টের হুমকি দেয়া। যা একেবারেই জাহান্নামের কাজ। এ জাতিয় অপরাধের সাথে অনেক সচেতন মানুষও জড়িত, যা অকল্পনীয়।

**কিয়ামতে কেউ কারও বোঝা বহন করবেনা
لاتزر وازرة وزر اخری(কোরআন)
ভাই-বোন, বাবা-সন্তান,কিয়ামতের দিন পরস্পর পরস্পরের বিরোধি হয়ে যাবে হক(সম্পদ) নষ্টের কারনে, কারন প্রথম বিচার শুরু হবে হক নিয়ে।
اول مايقضی بين الناس يوم القيامة الدماء"
আসুন মৃত্যুর পূর্বের সর্বশেষ কাজটি( মিরাস /বন্টন) যেনো কোনো ক্রমেই ভূল না হয়।যদি কেউ কারও থেকে অতিরিক্ত নিয়ে থাকি তা,ভাই থেকে ভাই, বোন থেকে ভাই, বাবা হতে সন্তান, সন্তান হতে বাবা, জীবিত থাকতেই তা পরিশোধ করি।বুঝিয়ে দেই যার যার সকল পাওনা। কারন চোখে দেখা যায়না এমন বিষয়েরও বিচার হবে হাশর মাঠে(مثقال ذرة)।।হাদীসের দৃষ্টিতে,প্রতিটি মুহুর্তের জন্য বৈধ ওসিয়াত নামা প্রস্তুত রাখতে হয়।এমনকি ওসিয়তনামা বালিশের নীচে রাখতে হয়,যেনো সমাধানে কোনো সমস্যা না হয়। কারন এসব কারনে অনেকেই অনায়াসে জাহান্নামে যাবে, নামাজ,রোযা দিয়ে তা ঠেকাতে পারবেনা। কারন এ গুলো হক লংঘিত গুনাহ।মহান আল্লাহর আয়াতের বিরুদ্ধে সংগঠিত গুরুতর অপরাধ।কারন কিছু নফল বাদ দিলে রেহাই থাকলেও ফরয লংঘনে কোনো উপায় নেই। মহান আল্লাহ আমাদের প্রতিটি হুকুম মেনে চলার বিশেষত হক বা অধিকার সম্পর্কিত বিষয় মেনে চলার তৌফিক দান করুন।

লেখক: খতীব, দক্ষিন মহাখালী জামে মসজিদ, ঢাকা

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়