আনিস তপন: [২] করোনাভাইরাস সংক্রমণের মধ্যে ঈদুল আজহার তিন দিনের ছুটি শেষে রোববার (২৫ জুলাই) অফিস-আদালত খুলেছে। কিন্তু এর আগে ২৩ জুলাই থেকে চলছে করোনা সংক্রমণ রোধে লকডাউন। ফলে ঈদের পর প্রথম কর্মদিবসে রোববার প্রশাসনের কেন্দ্রবিন্দু সচিবালয়ে ঈদের আমেজ লক্ষ্য করা গেছে। অনেক দপ্তরের দরজাও খোলে নি।
[৩] তবে ভিন্ন চিত্র রয়েছে সচিবালয়স্থ ক্লিনিকে। সেখানে ভির রয়েছে করোনার টিকা গ্রহীতাদের। কর্মকর্তারা-কর্মচারীর উপস্থিতি খুবই কম। তাদের অনেকেই রয়েছেন ঈদের আমেজে। তবে অন্য ঈদে কোলাকুলি করতে দেখা গেলেও এবার শুধু কুশল বিনিময় এবং ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করতে দেখা যায়।
[৪] বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে দেখা গেছে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নিজ নিজ দপ্তর এবং টেবিলে বসে কাজ করছেন। তবে কাজের চাপ অনেকটাই কম। ছুটি শেষে প্রথম কর্মদিবসে সচিবালয়ে তেমন ভিড় নেই। মহামারির কারণে দর্শনার্থী প্রবেশও বন্ধ। এজন্য অনেকটাই ফাঁকা সচিবালয়।
[৫] অন্যদিকে করোনা সংক্রমণ রোধে আগামী ৫ আগস্ট পর্যন্ত চলবে লকডাউন। বেলা সাড়ে ১২টার পর সচিবালয়ের বিভিন্ন দফতরে খুব কমসংখ্যক কর্মকর্তা-কর্মচারীকেই টেবিলে দেখা যায়।
[৬] জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, করোনার কারণে সরকারি ও বেসরকারি অফিস প্রায় সব বন্ধ রয়েছে। সচিবালয়ে এমনিতেই ৫০ শতাংশ জনবলের উপস্থিতির কথা বলা হলেও ঈদের কারণে তার সংখ্যা আরো কম। তিনি মনে করেন উপস্থিতি ২০-৩০ শতাংশ হতে পারে।
[৭] অপরদিকে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে সারা দেশের করোনা পরিস্থিতি সহ নানা কারণে মাঠ প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয়ের জন্য কাজ করছে ১৬ জন কর্মকর্তার সমন্বয়ে গঠিত একটি কমিটি। এই কমিটির নেতৃত্ব রয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. আবদুল বারিক।
আপনার মতামত লিখুন :