শিরোনাম
◈ নির্বাচনের মাঝেই ভারতের পররাষ্ট্র সচিব শনিবার ঢাকা আসছেন ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলার নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের ◈ বোতলজাত সয়াবিনের দাম লিটারে ৪ টাকা বাড়লো ◈ মুজিবনগর সরকারের ৪০০ টাকা মাসিক বেতনের কর্মচারি ছিলেন জিয়াউর রহমান: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ রেকর্ড বন্যায় প্লাবিত দুবাই, ওমানে ১৮ জনের প্রাণহানি ◈ টাইমের প্রভাবশালী ১০০ ব্যক্তির তালিকায় বাংলাদেশের মেরিনা (ভিডিও) ◈ দেশের মানুষকে ডাল-ভাত খাওয়াতে ব্যর্থ হয়েছিল বিএনপি : প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত : ২৪ জুলাই, ২০২১, ০৮:৩৪ সকাল
আপডেট : ২৪ জুলাই, ২০২১, ০৯:১৮ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] বাংলা পপ গানের ৫ কিংবদন্তী

সালেহ্ বিপ্লব: [২] মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্যদিয়ে স্বাধীনতা লাভের পর শুরু হয় দেশগড়ার সংগ্রাম। অন্যান্য সেক্টরের মতো গানের জগতেরও বিপ্লব সাধিত হয়, তুমুল জনপ্রিয় হয়ে ওঠে পপ সঙ্গীত। আর এই পপ সঙ্গীতের স্তম্ভ হিসেবে কাজ করেছেন ৫ শিল্পী। আজম খান, ফেরদৌস ওয়াহিদ, ফিরোজ সাঁই, ফকির আলমগীর ও পিলু মমতাজ।

[৩] আজম খান গানের জগতে পা রাখেন ঊনসত্তুরের গণঅভ্যুত্থানের সময়। গণসঙ্গীত গেয়ে মন জয় করেন সবার।  শুধু সঙ্গীত নয়, অস্ত্রহাতে যুদ্ধও করেছেন।  ১৯৭২ সালে তিনি বন্ধুদের নিয়ে গঠন করেন বাংলাদেশের প্রথম ব্যান্ডসঙ্গীত দল ‘উচ্চারণ’।

[৪] বন্ধু ফিরোজ সাঁইর মাধ্যমে আজম খানের পরিচয় হয়  ফকির আলমগীর, ফেরদৌস ওয়াহিদ ও পিলু মমতাজের সঙ্গে।  এই পাঁচজনের মধ্যে চমৎকার বোঝাপড়া গড়ে ওঠে, আর তাদেরই হাত ধরে বাংলাদেশে ব্যান্ড সঙ্গীতের পথচলা মসৃণ হয়।

[৫] ক্যান্সারের সঙ্গে দীর্ঘ লড়াই করে ২০১১ সালের ৫ জুন ঢাকা সিএমএইচ হাসপাতালে মারা যান বাংলাদেশের পপগুরু আজম খান। সরকার তাকে মরণোত্তর একুশে পদকে ভূষিত করেছে।

[৬] ফেরদৌস ওয়াহিদের সঙ্গীত সাধনার শুরু রবীন্দ্র ও লোকসঙ্গীত দিয়ে।  তরুণ বয়সে কানাডা চলে গিয়েছিলেন, সে সময় পাশ্চাত্য সঙ্গীতের প্রতি অনুরাগ জন্ম নেয়। তার আইকন হয়ে ওঠেন এলভিস প্রিসলি।  ১৯৭৩ সালে তিনি  ‘স্পন্দন’নামের ব্যান্ড গঠন করেন। এখনও তিনি গানের মধ্যে আছেন। শিগগিরই নতুন ও পুরানো ২০ গান নিয়ে অ্যালবাম বের করবেন বলে জানিয়েছেন।

[৭] ফকির আলমগীর কলেজ জীবন থেকেই বাম রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন। ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থান এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন তিনি। স্বাধীনতার পর দেশের নানা অসঙ্গতি তাকে ক্ষুব্ধ করে। মানুষকে সচেতন করার লক্ষ্যে গণসঙ্গীতকে মাধ্যম হিসেবে বেছে নেন ফকির আলমগীর।  স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের  এই কন্ঠযোদ্ধা ১৯৯৯ সালে একুশে পদক পুরস্কারে হন।  গতকাল ২৩ জুলাই রাতে তিনি মারা যান।

[৮] ফিরোজ সাঁই মূলত আধাত্মিক গান করতেন। সদ্য স্বাধীন দেশে পপ সংগীত  যখন তুমুল জনপ্রিয়, তখন আধাত্মিক গানের প্রভাব ধীরে ধীরে পপ সঙ্গীতকে আলোড়িত করে। যাদের প্রয়াসে এটা সফল হয়েছিলো, ফিরোজ ফিরোজ সাঁই তাদের মধ্যে অন্যতম ৷ ১৯৯৫ সালের ১২ জানুয়ারি রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির দর্শকভর্তি হলে তিনি গান গাইতে গাইতেই মারা যান। আর সেই গানটা ছিলো, ‘এক সেকেন্ডের নাই ভরসা, বন্ধ হইবো রংতামাশা।’ পরের বছর ১৯৯৬ সালে সরকার তাকে মরণোত্তর একুশে পদকে ভূষিত করে।

[৯] পিলু মমতাজ বাংলা লোকসংগীতের কিংবদন্তী শিল্পী ওস্তাদ মমতাজ আলী খানের তৃতীয় কন্যা। বাংলাদেশের পপ সঙ্গীতের শুরুতেই পিলু মমতাজের অংশগ্রহণ একটি ঐতিহাসিক ঘটনা নিঃসন্দেহে। শ্রোতাদের কাছে ভীষণ জনপ্রিয় এই শিল্পী শুধু স্টেজ শোতেই সীমাবদ্ধ রাখেননি নিজেকে। রেডিও ও টেলিভিশনে আধুনিক গানও গাইতেন তিনি। কিন্তু কী কারণে তিনি নব্বই দশকের শুরুতে গানের জগৎ থেকে সরে যান ধীরে ধীরে। আর কখনো গান গাইতে দেখা যায়নি তাকে। ২০১১ সালের ২৩ শে মে ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন  পিলু মমতাজ।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়