শাহীন খন্দকার: [২] ঈদের দিন ও ঈদের পরের দিন বন্ধ ছিলো রাজধানীর সব কাচাঁবাজার ও দোকানপাট। শুক্রবার (২৩ জুলাই) থেকে শুরু হয়েছে কঠোর লকডাউন। ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় সবজির দোকান বন্ধ থাকলেও ভ্যানে করে, পাড়া মহল্লায় বিক্রি হচ্ছে কাঁচা-তরকারি। কোরবানির ঈদ উপলক্ষে মানুষ ঢাকা ছাড়লেও বাজারে ক্রেতা কম। বন্ধ রয়েছে গরু ও খাসির মাংসের দোকান। তবে কিছু মুরগির দোকান খোলা রয়েছে।
[৩] এদিকে লকডাউনের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ব্রয়লার মুরগির কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ১৩০-১৪০ টাকা। লেয়ার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৩০-২৪০ টাকা। আর সোনালী মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০০-২৩০ টাকা । সীমিত কিছু ব্যবসায়ী দোকান খুলে বেচাকেনা করলেও বাজারে ক্রেতা কম। চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে মাছ । চিংড়ি মাছ ৮০০-৮৫০ টাকা কেজি, যা ঈদের আগে ৬০০-৬৫০ টাকায় কেনা যেতো। তেলাপিয়া মাছ কেজি প্রতি ১৫০-১৬০ টাকা, রুই মাছ কেজি প্রতি ২৪০-৩২০ টাকা, পাবদা ৪০০-৫০০ টাকা এবং রূপচাঁদা মাছ ৭০০-৮৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।
[৪] বিক্রেতারা বলছেন, কোরবানির ঈদের পরে সাধারণত বেচাকেনা কম হয়, ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয় কম থাকে। এবার লকডাউনে আরো কমেছে। রাজধানীর মোহম্মদপুর কৃষি মার্কেটসহ কাওরান বাজারে দেখা যায়, বেশ কিছু দোকানপাট বন্ধ। তেজগাঁও বেগুন বাড়ি, ফার্মগেট তেজকুনিপাপড়া বাজারের পরিস্থিতিও একই।
[৫] এদিকে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে সবজি। গাজরের কেজি ১৭০ টাকা, টমেটোর কেজি ১৫০ টাকা। দেশিয় শসা বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা কেজি। গত সপ্তাহে যা ছিলো ৮০ টাকা। হাইব্রিড শসা বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকায়। পাকা টমেটোর কেজি প্রতি ১৫০-১৬০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। সম্পাদনা : মিনহাজুল আবেদীন