রাশিদুল ইসলাম : [২] ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল জানিয়েছে, ইরাক থেকে এর বছরের মধ্যে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারে দু’দেশের কর্মকর্তারা একটি সমঝোতায় পৌঁছার চেষ্টা করছেন।
[৩] রুশ বার্তা সংস্থা স্পুৎনিক জানিয়েছে, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইরাকের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তারা বিদেশি সেনা প্রত্যাহারে একটি যৌথ বিবৃতি প্রকাশের লক্ষ্যে কাজ করছেন।
[৪] ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল বলেছে, আইএসের মতো উগ্র জঙ্গি গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে যুদ্ধে ইরাকি সেনাবাহিনীকে প্রশিক্ষণ ও সহযোগিতা করার লক্ষ্যে কিছু মার্কিন সেনা ইরাকে রেখে দেয়ার ব্যাপারেও আলোচনা চলছে।
[৫] এদিকে সৌদি আরবে প্রিন্স সুলতান বিমান ঘাঁটিতে আরো কিছু এফ-১৬ জঙ্গিবিমান মোতায়েন করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন সন্ত্রাসী সেনাবাহিনীর সেন্ট্রাল কমান্ড নিজের অফিসিয়াল আরবি-ভাষার টুইটার পেজে দেয়া এক পোস্টে জানিয়েছে, গত সপ্তাহে ওই ঘাঁটিতে এসব যুদ্ধবিমান পাঠানো হয়েছে।
[৬] ওই বিমান ঘাঁটির প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং ইউএস সেন্ট্রাল কমান্ডের অভিযানগুলোকে পৃষ্ঠপোষকতা দিতে এসব জঙ্গিবিমান মোতায়েনের কথা বলা হচ্ছে। ইরাকের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফুয়াদ হুসেইন ওয়াশিংটন স্ট্রিট জার্নালকে বলেছেন মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর বিদেশি সেনা নয় গোয়েন্দা সহযোগিতা প্রয়োজন। সামরিক প্রশিক্ষণ প্রয়োজন।
[৭] যুক্তরাষ্ট্র ও তার আঞ্চলিক মিত্রদের সহযোগিতায় সৌদি আরব ২০১৫ সালের মার্চ মাস থেকে দারিদ্রপীড়িত ইয়েমেনের ওপর ভয়াবহ আগ্রাসন শুরু করে। ইয়েমেনের ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট আব্দ রাব্বু মানসুর হাদিকে ক্ষমতায় বসাতে ও দেশটির জনপ্রিয় হুথি আনসারুল্লাহ আন্দোলনকে ধ্বংস করতে ওই আগ্রাসন চালানো হয়; যদিও ছয় বছর হামলা চালিয়েও এর একটি লক্ষ্যও অর্জন করতে পারেনি রিয়াদ।
আপনার মতামত লিখুন :