মারুফ হাসান: বৃহস্পতিবার (২২ জুলাই) দিনভরই ঢাকামুখী লেনে বিপুল পরিমাণ গাড়ি চলাচল করেছে।
রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গণপরিবহন ছাড়াও পণ্যবাহী পরিবহনের চাপ বাড়ছে। রাতে মহাসড়কের নলকা মোড়, কড্ডার মোড় ও মুলিবাড়ী এলাকায় দীর্ঘলাইনে গাড়ি চলাচল করতে দেখা যায়। তবে, কোথাও কোনো যানজটের খবর পাওয়া যায়নি।
ঢাকাগামী যাত্রী সাদিকা পারভীন বলেন, ‘রাস্তায় প্রচুর জ্যাম। ঘাটে প্রবেশের অনেক আগে থেকেই রাস্তা আটকে আছে গাড়িতে। আমাদের মোটরসাইকেল কোনোমতে ঘাটে প্রবেশ করতে পেরেছে। তারপরও এক ঘণ্টা লেগে গেছে ফেরিতে উঠতে।’
এ্যাপ্রোচ সড়ক থেকে বাংলাবাজার ঘাট পর্যন্ত দীর্ঘ চার কিলোমিটার পথে তৈরি হয়েছে যানবাহনের লাইন। নৌরুটে রোরোসহ ১৪টি ফেরি সকাল থেকে চলাচল করছে। তবে স্রোতের তীব্রতার কারণে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে দ্বিগুণ সময় লাগছে ঘাটে ভিড়তে। এতে করে চাহিদা মতো যানবাহন পার করা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে দীর্ঘতর হচ্ছে যানবাহনের লাইন।
বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোসাদ্দেক হোসেন বলেন, ঈদের দিন বুধবার (২১ জুলাই) মহাসড়ক নীরব থাকলেও বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই গাড়ি চলাচল করছে। সন্ধ্যার পর থেকে গাড়ির চাপ আরও বেড়ে গেছে। তবে কোথাও যানজট বা ধীরগতি নেই। স্বাভাবিক গতিতেই যানবাহন চলাচল করছে।
ঢাকাগামী যাত্রী মো. নাজিম বলেন, ‘ভোর থেকে লকডাউন। আজকেই ফিরতে হবে। বিকেলে ঘাটে এসে সিরিয়ালে আটকে আছি।’ আরেক যাত্রী মো. আশরাফুল বলেন, ‘ভোর থেকে কোনো যাত্রী পার করবে না। আজকেই যেতে হবে। এই চিন্তা থেকেই লোকজন সব ঘাটে আসছে। এ কারণে এতো ভিড়, যানজট।’
মূলত ঈদ এবং ঈদের আগের কঠোর লকডাউনের পূর্বে যারা বাড়ি ফিরেছিলেন তারা এবার ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে ফিরতে শুরু করেছেন। একযোগে যাত্রীদের উপস্থিতিতে ঘাট এলাকায় চাপ তৈরি হয়েছে। তাছাড়া ফেরিতে দ্বিগুণ সময় লাগায় ফেরির ট্রিপের সংখ্যা কমে গেছে। এতে করে পর্যাপ্ত পরিবহনও পার করা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে ঘাটে পারাপারের অপেক্ষারত যানবাহনের সংখ্যা প্রয়োজন অনুযায়ী কমছে না।
হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহজাহান আলী বলেন, যেহেতু শুক্রবার (২৩ জুলাই) থেকে আবারও কঠোর লকডাউনে পড়ছে দেশ সেহেতু আজকে একটু গাড়ির চাপ থাকবেই। বিশেষ করে ঢাকা থেকে যেসব গাড়ি উত্তরাঞ্চলে এসেছে সেই গাড়িগুলো ফিরে যাচ্ছে। এছাড়াও অনেক পণ্যবাহী পরিবহনও চলাচল করছে। এ কারণে মহাসড়কে চাপ রয়েছে। এসব পরিবহনের যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে মাঠে রয়েছে পুলিশ।
আপনার মতামত লিখুন :