রাহুল রাজ: [২] ১৫৩ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে কোনো প্রকারের চাপ ছাড়াই সৌম্য ও নাঈম ইনিংস শুরু করেন। প্রথম ১৩ ওভারেই বিনা উইকেটে ১০০ রানের জুটি তৈরি হলে শুরুতেই শক্ত ভীত পেয়ে যায় বাংলাদেশ। রান আউট হবার আগে সৌম্য ৫০ রানে করে টি-টোয়েন্টিতে পৌচ্ছে যান ১০০০ রানের ক্লাবে। রিয়াদ ১৫ রানে রান আউট হলে কিছুটা চাপে পড়ে যায় টিম টাইগার্স। শেষ পর্যন্ত নাঈম ৫১ বলে ৬৬ ও নূরুল হাসানের ৮ বলে ১৬ রানে অপরাজিত থেকে দলকে জয়ের বন্দরে পৌচ্ছে দেন। ৭ বল বাকি থাকতে ৩ ম্যাচ সিরিজ ১-০ তে এগিয়ে গেল দামাল ছেলেরা। এছাড়াও ম্যান অব দ্য ম্যাচ সৌম্য সরকার।
[৩] নিজেদের প্রথম, পঞ্চাশতম ও শততম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ একই প্রতিপক্ষের সঙ্গে খেলার অনন্য নজির স্থাপন করলো বাংলাদেশ। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হারারেতে খেলতে নেমে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সেঞ্চুরি পূর্ণ করলো বাংলাদেশ। একই সাথে নবম দল হিসেবে একশ টি-টোয়েন্টি খেলতে নামলো মাহমুদল্লাহর নেতৃত্বাধীন দলটি।
[৪] এর আগে টসে হেরে প্রথমে হারারে স্পোর্টস ক্লাবে বোলিং করতে নেমে শুরু থেকেই জিম্বাবুয়েকে চেপে ধরে বাংলাদেশ। সেই চাপেই শেষ পর্যন্ত ১৯ ওভারে ১৫২ রানে অলআউট হয়ে যায় স্বাগতিকেরা।
[৫] জিম্বাবুয়ের ইনিংসকে দুটি ভাগে ভাগ করা যায়, প্রথম ১০ ওভার ও এর পরের অংশ। প্রথম ১০ ওভারে ওপেনার রেগিস চাকাভার ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ২ উইকেট হারিয়ে স্কোর বোর্ডে ৯১ রান জমা করে জিম্বাবুয়ে। তবে ১১তম ওভারের প্রথম বলেই চাকাভা রান আউট হলে পাল্টে যায় চিত্র। স্বাগতিক ব্যাটসম্যানদের আর খোলস ছেড়ে বের হতে দেননি বাংলাদেশি বোলাররা।
[৬] মোস্তাফিজুর তিন উইকেট, মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন, ও শরিফুল ইসলাম ২ টি এবং সৌম্য ও সাকিব তুলে নিয়েছেন ১টি করে উইকেট। জিম্বাবুয়ের পক্ষে চাকাভা সর্বোচ্চ ৪৩ রান তুলতে সক্ষম হন। সম্পাদনা : ভিকটর রোজারিও
আপনার মতামত লিখুন :