মাহফুজুর রহমান: [২] উপজেলা শহরের কবিরপুর, নগরপাড়া, বাজারপাড়া সহ ৪টি গ্রামে সোমবার বিকাল থেকে কুকুরের কামড় ও হামলায় মানুষ আহত, অসুস্থ্য হওয়া মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। শুধু মানুষই নয় ছাগল-গরুও হামলার শিকার হচ্ছে। এদিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জলতঙ্ক রোগের টিকা সাপ্লাই না থাকার কথা জানিয়েছেন ডাক্তার। তাদের বাইরে থেকে টিকা কিনতে হচ্ছে, অনেক গরীব মানুষের টিকা কেনার সামর্থ নাই। দ্রুত এমন কুকুরগুলো আটকাতে না পারলে জলাতঙ্ক রোগের জীবানু সংক্রামিত হলে তা আতঙ্কের কারণ হতে পারে।
[৩] প্রত্যক্ষদর্শী ও আহতরা জানিয়েছে, ক্ষিপ্রগতিতে যাওয়ার সময় এমন সব কুকুর পথে-ঘাটে, বাড়ি এলাকায় যাকে পাচ্ছে তাকেই কামড় ও হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। রাস্তাঘাট-বাজার এলাকা থেকে শিশু, যুবক, বয়স্ক কেউই রেহায় পাচ্ছে না এমন কুকুরের কামড় থেকে। দুই দিনে কয়েকটি গ্রামের অর্ধশত মানুষ আহত হয়েছে। এর মধ্যে ২৫ জনের বেশী এসেছে হাসপাতালে, নিয়েছে প্রাথমিক চিকিৎসা তবে টিকার জন্যে দৌড়াতে হচ্ছে বাহিরে ।
[৪] শৈলকুপা পৌরসভার মালিপাড়া গ্রামের যুবক এনামুল জানান, হঠাৎ রাস্তার পাশ থেকে কুকুর এসে তাকে কামড়ে দেয়। তিনি বলেন, হাসপাতালে গিয়ে ওষধ পাননি, ডাক্তাররা ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
[৫] পৌসভার মধ্যপাড়া গ্রামের আশরাফুল ইসলাম জানান, পাগলা কুকুরে কামড়ের পর হাসপাতাল থেকে শুধু প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। আর যারা বাহির থেকে ওষধ-টিকা কিনে আনছে হাসপাতাল থেকে তা পুশ করা হচ্ছে। নদীতে গোসল করতে গিয়ে কামড়ের শিকার হয়েছেন অঞ্জলী বিশ্বাস, তার স্বজনরা জানান ওষধ কিনতে হবে, হাসপাতালে নাই।
[৬] শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গত সোমবার বিকাল থেকে আজ মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত ২৫ জন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছে। অনেকে গিয়েছেন ক্লিনিকে বা ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে। এখন পর্যন্ত আটকানো যায়নি খেপে যাওয়া পাগলা কুকুর। শুধু মানুষই নয় গরু, ছাগল সহ গৃহপালিত নানা পশু হচ্ছে হামলার শিকার। দ্রুত এমন কুকুরগুলি আটকানোর দাবি ভুক্তভোগীদের। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ
আপনার মতামত লিখুন :