সাকিবুল আলম: [২] করোনা মহামারির প্রকোপে বিধ্বস্ত মিয়ানমার। চলতি বছরের সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকেই দেশটি সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। সাধারণ জনগণ অপ্রতুল চিকিৎসাকর্মী ও মেডিক্যাল উপকরণের অভাবের কারণে হাসপাতালে যেতে চাইছে না। সিএনএন
[৩] মিয়ানমারের সবচেয়ে বড় শহর ইয়াঙ্গুনে, অসংখ্য মানুষ অক্সিজেন প্ল্যান্টের সামনে ভীড় জমাচ্ছে। শশ্মানগুলো কফিন,অন্ত্যেষ্টক্রিয়ার কর্মী, শোকাহত স্বজন ও স্বেচ্ছাসেবীতে পরিপূর্ণ। টাইমস অব ইন্ডিয়া
[৪] দেশটির চিকিৎসা ব্যবস্থা ইতোমধ্যেই বিধ্বস্ত হয়ে গিয়েছে। চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা জান্তা বাহিনীর আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের অংশ হিসেবে ধর্মঘটে অংশ নিয়েছে। এখন তারা জান্তা বাহিনীর গ্রেপ্তার ও আক্রমণ এড়াতে আত্মগোপনে আছে।
[৫] সিএনএনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে চিকিৎসক ও স্বেচ্ছাসেবী কর্মীরা জানিয়েছে, জান্তা বাহিনী করোনা অতিমারিকে সাধারণ জনতার বিরুদ্ধে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে। জান্তা সরকার, জনতার কাছে জরুরি অক্সিজেন সরবরাহ নিষিদ্ধ করেছে। এমনকি কোভিডে আক্রান্ত রোগীদের সেনাবাহিনী নিয়ন্ত্রিত হাসপাতালগুলোতে ভর্তিও হতে দিচ্ছে না তারা। এদিকে করোনা মহামারির সবচেয়ে খারাপ সময় পার করছে দেশটি।
[৬] চিকিৎসকরা আরো জানিয়েছে, মানুষরা এখন নিজেদের বাসাতে নিজেরাই চিকিৎসা করছে। হাসপাতালগুলোতে অক্রিজেন সরবরাহ,শয্যা ও পর্যাপ্ত কর্মী না থাকায় চিকিৎসা সেবার আশায় আগত রোগীদের ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
[৭] বুধবার সামরিক বাহিনী নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় একটি প্রতিবেদনে জানিয়েছে, নতুন আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৬ হাজার ৯৩ জন। এ নিয়ে দেশটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা হলো ২ লাখ ৪৬ হাজার ৬৩৩ জন। মোট মৃত্যু ৫ হাজার ৮১৪। তবে চিকিৎসক ও স্বেচ্ছাসেবী কর্মীরা বলছে জান্তা সরকার তথ্য গোপন করেছে। করোনায় মৃতের সংখ্যা সরকারি হিসাবের চেয়ে অনেক বেশি।
[৮] কয়েক মাসব্যাপী চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতায় মিয়ানমার জান্তা সরকার ৯০০ জনেরও বেশি মানুষকে হত্যা করেছে। উদ্বাস্তু হয়েছে হাজারো মানুষ। সম্পাদনা : রাশিদ
আপনার মতামত লিখুন :