শাহীন খন্দকার: [২] স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশীদ আলম আরও বলেন, করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতির মধ্যেই দেশজুড়ে উদযাপিত হয়েছে পবিত্র ঈদুল আজহা। এ উপলক্ষে গত ১৫ থেকে ২২ জুলাই পর্যন্ত বিধিনিষেধ শিথিল করে সরকার। ঈদের আগের দিন গত ২০ জুলাই পর্যন্ত প্রায় ৮৩ লাখ মানুষ ঢাকা ছাড়ে। ঢাকায় ফেরার জন্য হাতে আছে শুধু আজকের দিনটি (২২ জুলাই)। একদিনেই ঢাকা ফিরতে হবে বিপুলসংখ্যক মানুষকে। ঢাকামুখী মানুষের এ স্রোত সংক্রমণ পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটাবে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশীদ আলম।
[৩] তিনি বলেন, বিপুল সংখ্যক মানুষ একসঙ্গে ঢাকায় ফিরলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারে বুধবার (২১ জুলাই) তিনি বলেন, ‘ঈদের পরদিনই সবার ছুটি শেষ হচ্ছে। সবাই মিলে একসঙ্গে কর্মস্থলে ফিরতে গেলে ঝুঁকি তৈরি হবে।’
[৪] তিনি বলেন, আমাদের হাসপাতালগুলোতে বিপুলসংখ্যক রোগী চিকিৎসাধীন। আইসিইউসহ সাধারণ শয্যাগুলোও পূর্ণ হয়ে যাচ্ছে। এভাবে রোগী বাড়তে থাকলে কোনো প্রস্তুতিই কাজে আসবে না বলে জানালেন, অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশীদ আলম ।
[৫] মহাপরিচালক বলেন, ‘ঈদের আগে আমরা সরকারকে পরামর্শ দিয়েছিলাম কারফিউ দিয়ে দেওয়ার। কিন্তু এটি তো হয়নি। এ মুহূর্তে প্রয়োজন হলো ছুটি দু-একদিন বাড়িয়ে দেওয়া। কিন্তু কী হয় বলতে পারছি না।’ ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে অসংখ্য মানুষ গ্রামে গেছেন। সবাই সুস্থতার সঙ্গে ঈদ উদযাপন করুন। তবে মনে রাখবেন, ঈদ যেন বিষাদে পরিণত না হয়।
[৬] তিনি আরও বলেন, ‘ দেশের করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি দিনদিন খারাপ হচ্ছে। হাসপাতালের শয্যাগুলো রোগীতে পূর্ণ হয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থায় নিজেকে এবং পরিবারকে সুরক্ষিত রাখতে সতর্কতার বিকল্প নেই। সবাইকে শারীরিক দূরত্ব ও মাস্ক পরতে হবে।’
আপনার মতামত লিখুন :