শিরোনাম
◈ জাতীয় পতাকার নকশাকার শিব নারায়ণ দাস মারা গেছেন ◈ ইরানের ইস্পাহান ও তাব্রিজে ইসরায়েলের ড্রোন হামলা, ৩টি ভূপাতিত (ভিডিও) ◈ ভেটোর তীব্র নিন্দা,মার্কিন নীতি আন্তর্জাতিক আইনের নির্লজ্জ লংঘন : ফিলিস্তিন ◈ স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের গল্প-প্রবন্ধ নিয়ে সাময়িকী প্রকাশনা করবে বাংলা একাডেমি ◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ চিকিৎসকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সংসদে আইন পাশ করব: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের ◈ বোতলজাত সয়াবিনের দাম লিটারে ৪ টাকা বাড়লো

প্রকাশিত : ২১ জুলাই, ২০২১, ১২:৪০ রাত
আপডেট : ২১ জুলাই, ২০২১, ১২:৪০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

হাট ভর্তি গরু কিন্তু ক্রেতার আনাগোনা নেই, ফিরে যাচ্ছেন ব্যাপারীরা

নিউজ ডেস্ক : রাত পোহালে ঈদুল আজহা। তবে উত্তরার ১৭ নস্বর সেক্টরের অস্থায়ী কোরবানির পশুর হাটে বিপুল পরিমাণে রয়ে গেছে গরু-ছাগল।

বিক্রেতা ও ব্যাপারীরা জানান, বাজার ভালো না। হাটে এখনও যে পরিমাণে গরু আছে, তা আগামী তিন দিন বিক্রি করলেও শেষ হবে না। এদিকে গত সোমবার (১৯ জুলাই) রাতে হাটে ক্রেতার ভালো চাপ ছিল, সেই তুলনায় মঙ্গলবার (২০ জুলাই) বিকেল থেকে হাটে দাম পড়ে গেছে। এখন সব গরুতেই ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা লোকসানে বিক্রি করতে হচ্ছে। অনেকেই আবার গরু নিয়ে বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন। সব মিলিয়ে দুশ্চিন্তা পড়ে গেছেন গরু ব্যাপারীরা। বাংলানিউজ

সোমবার দুপুরে পাবনার ভাঙ্গুড়া থানা এলাকা থেকে ১৪টি গরু নিয়ে রাজধানীর উত্তরা ১৭ নম্বর সেক্টরের অস্থায়ী কোরবানির পশুর হাটে এসেছেন ব্যাপারী সুজন মণ্ডল। মঙ্গলবার একদিনে মাত্র একটি গরু বিক্রি করতে পেরেছেন বলে জানান তিনি।

সুজন মণ্ডল বাংলানিউজকে বলেন, একদিন হলো হাটে এসেছি। হাটের পরিস্থিতি ভালো না। কাল রাতে একটি গরু বিক্রি করে বনি করলাম, খরচ বাদে গরুতে দুই হাজার টাকা লাভ হয়েছে। কিন্তু আজ বাকি ১৩টি গরুর যে দাম বলে ক্রেতারা এতে একেক গরুতে ১৫ থেকে ২৫ হাজার টাকা লোকসান হয়। মনটা খুব খারাপ। এতগুলো গরু নিয়ে আসলাম, কিন্তু এখন দেখি এগুলো আবার ফিরিয়ে নেওয়া লাগবে। হাটে ক্রেতাই চাপছে না।

শেরপুর থেকে গত রোববার (১৮ জুলাই) সকালে ১৫টি গরু নিয়ে এ হাটে এসেছেন হৃদয় ও তার চাচা আহম্মদ। গত দু’দিনে ১৪টি গরু বিক্রি করেছেন। শেষ একটি (মাঝারি আকারের) গরু নিয়ে হাটের রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছেন। এটি বিক্রি হলেই বাড়ি ফিরবেন চাচা-ভাতিজা। তবে ক্রেতা কম।

হৃদয় বাংলানিউজকে বলেন, মঙ্গলবার দুপুরের পর থেকে বাজার পড়ে গেছে। হাটে মেলা গরু আছে কিন্তু কাস্টমার নেই। এ বছর গরু বিক্রিতে লাভ করতে পারিনি। প্রত্যেক গরুতে ১৫-২০ হাজার টাকা করে লোকসান হয়েছে।

তিনি বলেন, ছোট আকারের একটি ষাঁড় গরু আমাদের কেনাই পড়েছে লাখের ওপরে। কিন্তু ক্রেতারা তার দাম কয় ৬০-৬৫ হাজার টাকা। কেনা দামের থেকেও ২০ হাজার টাকা লোকসান। গরু আনা ও খাবারের খরচ তো বাদই। আমাদের পরিশ্রম ফাউ।

এদিকে ব্যাপারীরা বলছেন, এ বছর কোরবানির গরু বিক্রিতে গৃহস্থরা দাম পেয়েছে। কিন্তু ব্যাপারীরা লোকসানে আছে। হাটে গরুর তেমন দাম পাচ্ছি না। অথচ গ্রামে এ গরুগুলোর ভালো দাম ছিল। কিন্তু বেশি দামে বিক্রির জন্য ঢাকা এনেই ধরা খেতে হয়েছে।

ক্রেতারা বলছেন, বাজারে গরু আছে কিন্তু মাঝারি ও ছোট গরুর প্রচুর দাম। ক্রেতাদের অনেকেই বাজার বারতির ভয়ে সোমবারই গরু কিনে ফেলেছেন। এখন বাজারে গরু অনেক বেশি আছে কিন্তু ব্যাপারীরা দাম ছাড়ছে না।

উত্তরা ১৭ নস্বর সেক্টরে কোরবানির অস্থায়ী পশুর হাটে প্রচুর গরু রয়েছে এমন তথ্যের ভিত্তিতে বিমানবন্দরের আশকোনা এলাকার বাসিন্দা আশেক এলাহী এ হাটে এসেছেন গরু কিনতে। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, বিকেল থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত হাটে ঘুরছি। অনেক গরু আছে কিন্তু পুরো হাট ঘুরে এখনও শেষ করতে পারিনি। ক্রেতা কম। তারা গরুর দাম ছাড়ছে না। আমাদের বাজেটেও মিলছে না। তাই ঘুরছি। দেখি তগদিরে যা আছে তা নিয়ে যেতে হবে।

এদিকে হাট থেকে অনেক ব্যাপারী ট্রাকে গরুবোঝাই করে বাড়ির পথে রওয়ানা হয়েছেন। অনেকে আবার গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছেন। তারা বলছেন, হাটে ক্রেতারা গরুর দাম বলে না। যে দাম বলে তাতে বিক্রি করলে অর্ধেক লোকসান হবে। কেনা দামই থাকে না।

কিশোরগঞ্জ থেকে আসা ব্যাপারী রশিদ বলেন, গাড়ির জন্য বসে আছি। এলেই বাড়ি চলে যাবো। আমার ১২ মনের মতো গরুর দাম চাই সাড়ে ৪ লাখ টাকা। কিন্তু ক্রেতারা বলে দেড় লাখ টাকা। দুই বছর পুষে যা খাওয়াইছি তার দামই ওঠে না। গরুর দাম তো পরের বিষয়। হাটে না বেচা হলে কষাইয়ের কাছে দিয়ে দেব। ওজনে বিক্রি করলেও সমান সমান হবে। তাই বাড়ি চলে যাব।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়