সুজন কৈরী : [২] স্বর্ণ চোরাচালানে জড়িত তিনজনকে আটক করেছে বিমানবন্দর আমর্ড পুলিশ (এএপি)। তারা হলেন- টাংগাইলের রিয়াজুল হাসান, কেরানীগঞ্জের মোহাম্মদ আমিন, সোনারগাঁওয়ের মোকারাম খাঁন। এ নিয়ে দ্বিতীয় বারের মতো তরল স্বর্ণ জব্দ করেছে এএপি।
[৩] মঙ্গলবার ভোরে আটকরা টার্কিশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে (টিকে-৭১২) মিশর থেকে ঢাকায় পৌঁছান।
[৪] বিমানবন্দর আর্মড পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জিয়াউল হক পলাশ বলেন, আটক যাত্রীদের দুজন দুবাইয়ে ব্যবসা করেন। তারা সেখানে স্বর্ণ আনার বিষয়ে পরিকল্পনা করেন। তারপর তারা দুবাই থেকে মিশর যান। সেখান থেকে ইস্তানবুলে ট্রানজিট হয়ে ঢাকায় আসেন। ইস্তানবুলে ট্রানজিটের সময় তারা এসব স্বর্ণ সংগ্রহ করেন। দুবাইয়ে তরল স্বর্ণ বিক্রি নিষিদ্ধ হওয়ায় তারা এই পদ্ধতি অবলম্বন করেন।
[৫] জিয়াউল হক বলেন, স্বর্ণ চোরাচালানের তথ্যে ঢাকায় পৌঁছার পর তাদের ব্যাগেজ স্ক্যান ও তল্লাশি করা হয়। কিন্তু সেখানে স্বর্ণের অস্তিত্ব না পাওয়ায় আটকদের শরীরে তল্লাশি করা হয়। এ সময় তাদের শরীরের বিভিন্ন অংশে প্যাঁচানো অবস্থায় পায়ে তরল সোনাগুলো উদ্ধার করা হ।
[৬] জিজ্ঞাসাবাদে আটকরা জানিয়েছেন, বাংলাদেশে দুজন স্বর্ণ ব্যবসায়ীর কাছে উদ্ধার হওয়া স্বর্ণগুলো বিক্রি করার কথা ছিলো তাদের। এতে তাদের প্রায় ৬০ লাখ টাকা লাভ হতো।
[৭] তিনি আরও জানান, তরল স্বর্ণ ব্যবসায় মূলত লাভ বেশি এবং এটি সহজে বহণযোগ্য। শরীরের যে কোনও স্থানে লুকিয়ে বহণ করা যায়। এজন্যই মূলত চক্রটি এসব স্বর্ণ বহণ করেছিলেন।
[৮] এই ঘটনায় চোরাচালানের মামলা করে আটকদের বিমানবন্দর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
[৯] এর আগে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে ১ কেজি ১০০ গ্রাম ওজনের তরল স্বর্ণ উদ্ধার করেছিলো বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ।