মনিরুল ইসলাম: [২] সীমিত আকারে খোলা থাকবে ব্যাংক। কাল বুধবার পবিত্র ঈদুল আজহা। কোরবানির ঈদ। ত্যাগ ও তিতিক্ষার ঈদ। ঈদ ও কোভিড-১৯ মহামারির পরবর্তী বিধিনিষিধে কার্যত টানা ২১ দিনের ছুটিতে পড়েছে দেশ।
[৩] ঈদের ছুটি, সাপ্তাহিক ছুটি এবং করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে ঘোষিত বিধিনিষিধে ২ সপ্তাহের বেশি বন্ধ থাকবে অফিস, গণপরিবহন ও শপিং মল। যদিও ঈদের সরকারি ছুটি ৩ দিন। মঙ্গল, বুধ ও বৃহস্পতিবার।
[৪] এদিকে, সীমিত আকারে খোলা থাকবে ব্যাংক। আজ মঙ্গলবার থেকে ঈদের ছুটি শুরু হলেও ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের পশুর হাট সংলগ্ন ব্যাংকগুলোর শাখা-উপশাখা সকাল ১০টা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত খোলা থাকছে।
[৫] এ ছাড়া আজ তৈরি পোশাক শ্রমিকদের বেতন, বোনাস ও অন্যান্য ভাতাদি পরিশোধের সুবিধার্থে কেবল ঢাকা মহানগরী, আশুলিয়া, টঙ্গী, গাজীপুর, সাভার, ভালুকা, নারায়ণগঞ্জ ও চট্টগ্রামে অবস্থিত তৈরি পোশাকশিল্প সংশ্লিষ্ট শাখাগুলো খোলা থাকবে।
[৬] ব্যাংকে সকাল ১০টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত লেনদেন করা যাবে। এ ছাড়া কঠোর লকডাউন চলাকালে আগামী ২৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত সকাল ১০টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত লেনদেন চলবে । লেনদেন পরবর্তী সময়ের কাজের জন্য ব্যাংক খোলা থাকবে দুপুর ৩টা পর্যন্ত।
[৭] এর বাইরে আরোপিত বিধিনিষেধের আওতামুক্ত থাকবে খাদ্য ও খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন/প্রক্রিয়াজাতকরণ মিল কারখানা, কোরবানির পশুর চামড়া পরিবহন, সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াজাতকরণ এবং ওষুধ, অক্সিজেন ও কোভিড-১৯ প্রতিরোধে ব্যবহারের জন্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য উৎপাদনকারী শিল্প-কারখানা।
[৮] ঈদের তিন দিন (২০, ২১ ও ২২ জুলাই) ছুটি। এরপর ২৩ ও ২৪ জুলাই সাপ্তাহিক (শুক্র ও শনিবার) ছুটি। ফলে ঈদের ছুটি মিলে টানা ৫ দিনের ছুটি পাচ্ছেন সবাই।
[৯] অন্যদিকে, করোনা সংক্রমণ রোধে ২৩ জুলাই সকাল ৬টা থেকেই শুরু হচ্ছে বিধিনিষেধ। এই বিধিনিষেধ চলবে ৫ আগস্ট দিবাগত রাত ১২টা পর্যন্ত। অর্থাৎ মোট ১৪ দিন থাকছে বিধিনিষেধ। এসময় সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি অফিস বন্ধ রাখা হবে। বন্ধ থাকবে সব শিল্প কারখানা এবং গণপরিবহন। [১০] আগামী ৫ আগস্ট দিবাগত রাত ১২টার পরদিন শুক্র ও শনিবার (৬ ও ৭ আগস্ট) সাপ্তাহিক ছুটি। সবমিলে ২১দিন ছুটির ফাঁদে দেশ।
আপনার মতামত লিখুন :