রাশিদুল ইসলাম : [২] ইসরাইলের এনএসও সংস্থার তৈরি পেগাসাস স্পাইওয়্যার কাজে লাগিয়ে আড়ি পাতার অভিযোগকে কেন্দ্র করে ভারতের প্রধান বিরোধীদল কংগ্রেসের মুখপাত্র রণদীপ সূর্যেওয়ালার অভিযোগ, কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীসহ দেশের নেতাদের, দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যম সংস্থার সাংবাদিক এবং সাংবিধানিক পদগুলোতে গুপ্তচরবৃত্তি করা হয়েছে। সেজন্য ‘ভারতীয় জনতা পার্টি’র (বিজেপি) নাম পরিবর্তন করে ‘ভারতীয় জাসুস পার্টি’ রাখা উচিত। তিনি আরও বলেন, দেশের মানুষ এখন বলছে এবার বিশ্বাসঘাতক গুপ্তচর সরকার। কংগ্রেসের মুখপাত্র রণদীপ সূর্যেওয়ালা দেশের নাগরিকদের মৌলিক অধিকার দমন করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে অভিযুক্ত করে কেন্দ্রীয় সরকার দেশের নিরাপত্তার সাথে খেলা করেছে বলে মন্তব্য করেছেন। পারসটুডে
[৩] ভারতীয় মিডিয়া ‘দ্য ওয়্যার’-এর রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, পেগাসাস স্পাইওয়্যার ব্যবহার করে দেশের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, বিরোধী দলীয় নেতা-নেত্রী, শিল্পপতি, ব্যবসায়ী ও কমপক্ষে ৪০ জন সাংবাদিকের ফোনে আড়ি পাতা হয়েছে। অবশ্য সমস্ত ফোনের ফরেন্সিক পরীক্ষা এখনও হয়নি বলে জানানো হয়েছে। ওই তালিকায় রয়েছেন ‘হিন্দুস্তান টাইমস’, ‘ইন্ডিয়া টুডে’, ‘নেটওয়ার্ক ১৮’, ‘দ্য হিন্দু’ এবং ‘ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’-এর সাংবাদিকরা। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে ভারতে ৩০০র বেশি ফোনে কেন্দ্রীয় সরকার আড়ি পাতার চেষ্টা চালিয়েছিল বলে ‘পেগাসাস প্রোজেক্ট’ নামে একটি তদন্ত রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে।
[৪] ‘দ্য ওয়্যার’-এর দাবি, দেশের নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর বর্তমান এবং সাবেক প্রধান এবং বহু ব্যবসায়ী হ্যাকিংয়ের তালিকায় রয়েছেন। যদিও কেন্দ্রীয় নরেন্দ্র মোদি সরকার হ্যাকিংয়ের বিষয়টি অস্বীকার করে ফোনে আড়ি পাতা নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে তার কোনও ভিত্তি নেই বলে জানিয়েছে।
[৫] ভারতের কেন্দ্রীয় তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেছেন, এটি ভারতীয় গণতন্ত্রকে বদনাম করার ষড়যন্ত্র। আড়ি পাতা কাণ্ডের বিষয়ে সরকারের কোনও সম্পর্ক নেই।
[৬] ওই ঘটনায় তদন্তের দাবি জানিয়েছেন, প্রধান বিরোধীদল কংগ্রেসের সিনিয়র নেতা প্রদীপ ভট্টাচার্য এমপি বলেন, এর তদন্ত হওয়া উচিত। প্রয়োজন হলে যৌথ সংসদীয় কমিটি গঠন করতে হবে, কারণ ফোনে আড়ি পাতা আমাদের দেশের গণতন্ত্র বিরোধী’ বলেও কংগ্রেসের সিনিয়র নেতা প্রদীপ ভট্টাচার্য এমপি মন্তব্য করেন।