নুরে আলম:[২] পৃথিবীকে সুস্থ ও স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে এর কোনো বিকল্প নেই। মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সারাবিশ্ব যেভাবে লড়ছে ঠিক সেভাবেই জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধেও লড়তে হবে। কারণ, করোনভাইরাস থেকে আরো বেশি ভয়াবহ পরিস্থিতির দিকে যাচ্ছে এই বিশ্বব্যাপী জলবায়ু সংকট।গার্ডিয়ান
[৩] চলতি বছরের নভেম্বরে স্কটল্যান্ডের গ্যাসগোতে কোপ-২৬ জাতিসংঘের যে জলবায়ু সম্মেলন হবে সেখানে জলবায়ু বিষয়ক জোট গ্লোবাল অ্যালায়েন্স সবুজ অর্থনীনৈতিক নীতি এবং নতুন সবুজ চুক্তি বাস্তবায়নে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন। এই জোটে বর্তমানে ১৯টি দেশের ২১ জন সদস্য আছেন।
[৪] মার্কিন কংগ্রেসের সদস্য ইলহান ওমর বলেন, সম্প্রতি ইউরোপ, যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডাসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে জলবায়ু সংকট মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। জলবায়ু মোকাবেলায় ব্যর্থতার কারণে আমরা ভয়াবহ অবস্থার সম্মুখীন হচ্ছি।
[৫] তিনি আরো বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে ইতোমধ্যে দাবানল ভয়ংকরভাবে ছড়িয়ে পড়েছে, ঘন ঘন ঘূর্ণিঝড় হচ্ছে, অস্ট্রেলিয়ায় তীব্র তাপদাহ দেখা দিয়েছে, পৃথিবীর নানা প্রান্তে বন্যা হচ্ছে। বিশ্ব নেতারা ঐক্যবদ্ধভাবে পদক্ষেপ নিতে না পারলে এ ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ বাড়তেই থাকবে।
[৬] জলবায়ু মোকাবেলায় প্রতিটি দেশ সবুজ অর্থনীতিতে গুরুত্ব দেবে এবং মহামারি করোনভাইরাসের সংক্রমণ রোধে প্রতিটি দেশ ভ্যাকসিন কার্যক্রমে একে অপরকে সাহায্য করবে বলে আশা করছে জলবায়ু বিষয়ক জোট। একই সঙ্গে কার্বন নির্গমন বন্ধ করতে ও বিশ্বের গরিব দেশগুলোকে সাহায্য করতেও আবেদন জানিয়েছেন তারা।
[৭] ফরাসি এমইপি ম্যানন অব্রি বলেন, সরকারকে অবশ্যই সামাজিক ন্যায়বিচার এবং জলবায়ু বিষয়ে মনোযোগ দিতে হবে। কারণ জলবায়ু সংকট পরিস্থিতি উদ্বেগজনক হারে অধিক থেকে অধিকতর হচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বৈষম্য এবং দারিদ্র্যতার হার অনেক বৃদ্ধি পাচ্ছে। যদি আমরা নিয়মতান্ত্রিক ও কার্যকর জলবায়ুনীতি চাই তাহলে মুক্তবাণিজ্য ও মুক্তবাজার অর্থনৈতিক আদর্শে মৌলিক পরিবর্তন আনতে হবে।