রাশিদ রিয়াজ : ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেছেন মোদি সরকার ইসলামাবাদকে চাপে রাখতে সমর্থ হয়েছে। ফিনান্সিয়াল এ্যাকশন টাস্ক ফোর্স বা এফএটিএফ’তে পাকিস্তানকে ধুসর তালিকায় রাখার জন্যে প্রচেষ্টার কথাও শেষ পর্যন্ত স্বীকার করে নিয়েছে ভারত। গত মাসে সন্ত্রাসবাদ ও অর্থ পাচারে অর্থায়নে লড়াইয়ের লক্ষ্যে কাজ করা এফএটিএফ’র ২৭টি শর্তের ২৬টি পূরণ করে পাকিস্তান। এরপর আরো নতুন ৬টি শর্ত আরোপ করা হয়। শেষ পর্যন্ত পাকিস্তান ধুসর তালিকায় রয়ে যায়। ইসলামাবাদকে বৈশ্বিক চাপের কৌশলের মুখোমুখি রাখতেই ভারত এধরনের প্রচেষ্টায় রয়েছে বলে মনে করছে ইসলামাবাদ। এক্সপ্রেস ট্রিবিউন/এএনআই
বিজেপি নেতাদের ভারতের পররাষ্ট্রনীতি সম্পর্কে দেওয়া এক ভার্চুয়াল মিটিংএর এস জয়শঙ্কর বলেন, আমাদের কারণেই পাকিস্তানকে এফএটিএফ’র ধুসর তালিকায় রাখা হয়েছে। আমরা অত্যন্ত সফলতার সঙ্গে পাকিস্তানকে ওই তালিকায় রাখতে চাপ দিতে সমর্থ হয়েছি। এবং আসল কথা হচ্ছে পাকিস্তানের আচরণের পরিবর্তন হয়েছে ভারতের চাপের কারণে। জয়শঙ্কর পাকিস্তানে লস্করে তৈয়বা ও জৈশে মোহাম্মদের মত সংগঠনগুলোর ওপর জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা আরোপর জন্যে নরেন্দ্র মোদি সরকারের প্রচেষ্টার জন্যে কৃতিত্ব দেন। পাকিস্তানকে ধুসর তালিকায় রেখে এফএটিএফ দেশটিতে আরো নজরদারি বৃদ্ধির কথা জানায়।
এ মাসের শুরুতে পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কোরেশি এফএটিএফ’কে তার দেশের বিরুদ্ধে ভারতের মদদে সন্ত্রাস বন্ধ করতে ব্যবস্থা নেওয়ার আহবান জানান। এক বিবৃতিতে কোরেশি লাহোরের জোহর টাউন বিস্ফোরণের জন্যে ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস উইং ‘র’কে দায়ী করেন। তিনি বলেন উপযুক্ত প্রমাণ থাকায় অর্থ পাচার রোধে বিশ^ সংস্থা বা এফএটিএফ’র উচিত ভারতের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া। যদি তা না করা হয় তাহলে এফএটিএফের ডাবল স্ট্যান্ডার্ড নীতির কারণেই তা হচ্ছে না। কার্যত এফএটিএফ রাজনৈতিক প্লাটফরমে পরিণত হয়েছে। কোরেশি এও জানান এসব সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের তথ্য প্রমাণ পাকিস্তান জাতিসংঘ, পি-ফাইভ দেশগুলো ও কূটনীতিকদের কাছে পাঠিয়েছে।