শাহীন খন্দকার: [২] রাজধানী ঢাকায় করোনা রোগীদের জন্য সরকারি হাসপাতালগুলোতে আর মাত্র ৫৭টি (নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র) আইসিইউ ফাঁকা রয়েছে। রোববার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এ তথ্য জানিয়েছে। রোগী সংক্রমণের এই ঊর্ধ্বগতি আর মৃত্যুর মিছিলে রাজধানী ঢাকাতে আইসিইউ বেডের সংখ্যা ক্রমেই কমে আসছে।
[৩] স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, রাজধানী ঢাকার সরকারি করোনা ডেডিকেটেড ১৬ হাসপাতালের ৩৯৩টি আইসিইউ বেডের মধ্যে মাত্র ৫৭টি বেড ফাঁকা রয়েছে। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরো সায়েন্সেস ও হাসপাতাল এবং ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব কিডনি ডিজিজেস অ্যান্ড ইউরোলজি হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা হলেও সেখানে তাদের জন্য আইসিইউ নেই। বাকিগুলোর মধ্যে রাজধানীর করোনা ডেডিকেটেড কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের ১০ বেড, সরকার কর্মচারী হাসপাতালের ৬ বেড, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ২০ বেড, মুগদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ২৪ বেড, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ১০ বেড আর বিএসএমএমইউতে ২০ বেডের সবগুলোতে রোগী ভর্তি রয়েছে।
[৪] বাকি কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতালের ২৬ বেডের মধ্যে একটি, শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতালের ১৬ বেডের মধ্যে একটি, রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালের ১৫ মধ্যে দুইটি, জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউট ও হাসপাতালের আট বেডের মধ্যে একটি, টিবি হাসপাতালের ১৬ বেডের মধ্যে ১২টি, জাতীয় বক্ষব্যাধি ইন্সটিটিউট ও হাসপাতালের ১০ বেডের মধ্যে চারটি ও ডিএনসিসি ডেডিকেটেড হাসপাতালের ২১২টি আইসিইউর মধ্যে ফাঁকা রয়েছে মাত্র ৩৬ বেড।
[৫] প্রসঙ্গত, রোগী সংক্রমণের এই ঊর্ধ্বগতিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আগেই শঙ্কা প্রকাশ করে জানিয়েছে দেশের প্রান্তিক পর্যায়সহ জেলা-উপজেলা ও বিভাগীয় হাসপাতালগুলোতে সাধারণ শয্যা ও আইসিইউ শয্যার সংখ্যা কমে আসছে। করোনাসংক্রমণের সংখ্যা কিছুতেই কমছে না জানিয়ে অধিদপ্তরের মুখপাত্র অধ্যাপক রোবেদ আমিন বলেছেন, গত দুই মাস আগেও সারাদেশে সাধারণ শয্যা এবং আইসিইউ বেড খালি ছিল। বর্তমানে সংখ্যা ধীরে ধীরে কমে যাচ্ছে। ডা. রোবেদ আমিন আরও বলেন, যে হারে দেশে সংক্রমণ বাড়ছে, তাতে করে যদি হাসপাতালের বিদ্যমান চাপ চলতেই থাকে হাসপাতালের বেড খালি থাকবে না।